সংক্ষিপ্ত

পশ্চিমবঙ্গের একাধিক স্কুলের ছাত্রদের ট্যাব কেনার টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে চলে যাওয়ার ঘটনা সামনে এসেছে। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বার্ধক্য ভাতা, কৃষক বন্ধুর টাকাও এই একইভাবে অন্যত্র চলে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মুখ্যমন্ত্রী তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

পূর্ব বর্ধমানের একটি স্কুলের ২৮ জন ছাত্র পায়নি ট্যাবের টাকা। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই আরও কয়টি চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এল। জানা গিয়েছে, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বার্ধক্য ভাতা, কৃষক বন্ধু থেকে ট্যাব কেনার টাকা গেল অন্য অ্যাকাউন্টে। এই ঘটনা সামনে আসতেই তদন্তের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

এক সংবাদপত্রের খবর অনুসারে, সরকারি পোর্টালে ঢুকে প্রকৃত প্রাপকের ব্যাঙ্ক অ্যকাউন্ট নম্বরের বদলে অন্যের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেই সব অ্যাকাউন্টেই ঢুকেছে টাকা। ঘটনায় ঝাড়খণ্ডের জামতাড়া, রাজস্থানের আলওয়ার এবং বিহারের গয়া গ্যাং-র মতো গ্যাং জড়িত। প্রায় ৮০টি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে।

এই প্রতারণার ঘটনায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। তিনি কড়া নির্দেশ দিলেন যাতে দ্রুত এই সমস্যা সমাধান হয়।

তরুণের স্বপ্ন-র আওতায় পড়ুয়াদের ট্যাব কেনার অর্থ দেওয়া হয়। ১০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রদের দেওয়া হয় এই টাকা। ১৮ লক্ষ পড়ুয়ার মধ্যে বেশ কয়েকটি জেলার পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্টে টারা ঢোকেনি বলে অভিযোগ আসে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে সেই সকল টাকা গিয়েছে অন্য অ্যকাউন্টে। সোমবার থেরে টাকা দেওয়া শুরু হয়। কিন্তু, তারপরই এই ঘটনা সামনে আসে। শেষ জানা গিয়েছে, কোনও বিশেষ গ্যাং ঘটাচ্ছে এমন ঘটনা। ট্যাবের টাকা শুধু নয়। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, বার্ধক্য ভাতা, কৃষক বন্ধু ভাতার টাকাও পান না অনেকে। যা যাচ্ছে অন্য অ্যাকাউন্টে। এই ঘটনা সামনে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।