সংক্ষিপ্ত

'পুজোয় ফিরুন, উৎসবে ফিরুন', সাধারণ মানুষের কাছে আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর। মমতার এই বক্তব্যের পরেই বিতর্কের ঝড় ওঠে রাজ্য জুড়ে। তবে এই ইস্যুতেও মমতার পাশে দাঁড়িয়ে সাফাই দিলেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য।

আর আন্দোলন না করার বার্তা এল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে। আমেরিকা, গ্রেট ব্রিটেন সহ একাধিক দেশে আরজি কর কাণ্ডে বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। আর এসবের মাঝে মুখ্যমন্ত্রীর বড় বার্তা, 'পুজোয় ফিরুন, উৎসবে ফিরুন', সাধারণ মানুষের কাছে আহ্বান মুখ্যমন্ত্রীর। মমতার এই বক্তব্যের পরেই বিতর্কের ঝড় ওঠে রাজ্য জুড়ে। তবে এই ইস্যুতেও মমতার পাশে দাঁড়িয়ে সাফাই দিলেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য।

কী বললেন তিনি?

দেবাংশু ফেসবুকে লিখেছেন, "ইচ্ছুক জনগণকে উৎসবে শামিল হতে বলা অপরাধের? এটা নিয়েও বিতর্ক? বাড়িতে মাছ মাংস খাচ্ছেন না তো? সিনেমার প্রমোশন করছেন না তো? রেস্টুরেন্টে যাচ্ছেন না তো? পুজোর শপিং করছেন না তো? একটা পার্টি এই বিষয়টা নিয়ে একটা ন্যারেটিভ ছড়াল, আর কিছু মানুষ সেটাকে নিয়ে পোস্ট করতে শুরু করেছেন! যে পার্টি এটা ছড়াল, তারা দুর্গাপুজোর মণ্ডপগুলোর বাইরে লাল ন্যাকড়া মোড়া স্টল লাগাবে না তো?

তিলোত্তমার চলে যাওয়ার শোক প্রত্যেকটা মানুষের আছে। তা বলে বাঙালি সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসবকে বলি যাওয়া যায় না। কারণ এই উৎসবের সঙ্গে শুধু আনন্দ-ফুর্তি জড়িত নয়, লাখ লাখ মানুষের রুটি-রুজি জড়িত। আপনাদের মত কিছু এলিট সোসাইটির লোকেদের কাছে সেইসব প্রান্তিক মানুষদের রুটি রুজির গুরুত্ব না থাকতে পারে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে আছে। প্রতিটা শব্দে ভুল ধরতে যারা শুরু করেছেন, তারা এবার রাজনৈতিক নোংরামি করছেন। এনাফ.."

এখানেই প্রশ্ন গোটা দেশ যেখানে প্রতিবাদে মুখর সেখানে সব ভুলে গিয়ে পুজোয় মেতে যাওয়া কতটা সম্ভব তা নিয়ে প্রশ্ন অনেকের। এক নেট নাগরিক লিখেছেন, এক মাস হয়ে গেছে, অতএব আসুন সবাই মিলে ভুলে যাই মেয়েটিকে কি ভয়ঙ্কর মৃত্যু দেওয়া হয়েছিল, এক মাস হয়ে গেছে তাই সবাই উৎসবে মেতে উঠে ধেই ধেই করে নাচতে শুরু করি…অপর এক নেট নাগরিক লিখেছেন, উৎসবে ফিরব কি না সেই পরামর্শ রাষ্ট্র দিতে পারে না।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।