সংক্ষিপ্ত

খোদ তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নামে শ্লোগান দিতে গিয়ে কী মারাত্মক ভুল করে ফেললেন দলের কর্মীরা। আরজি কর কান্ডের প্রতিবাদে সমাবেশ করছিলেন তাঁরা। আর সেখানেই মুখ ফসকে বেরিয়ে গেল বিস্ফোরক কথা।

তৃণমূলের বোধহয় এখন শনির দশা চলছে। যাই করতে যান না কেন গড়বড় হয়েই যাচ্ছে। টলিউড অভিনেত্রীদের পাশে দাঁড়িয়ে আরজি কর কান্ডে খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও স্লিপ অফ টাং হয়েছিল বইকী। তাহলে আর কী দোষ করলেন মালদহ জেলার তৃণমূল কর্মীরা! মমতা বলে ফেলেছিলেন ধর্ষিতার ফাঁসি চাই। পরে অবশ্য নিজেকে সংশোধন করে নেন তিনি।

আর এবার কী কান্ড ঘটল দেখুন! খোদ তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নামে শ্লোগান দিতে গিয়ে কী মারাত্মক ভুল করে ফেললেন দলের কর্মীরা। আরজি কর কান্ডের প্রতিবাদে সমাবেশ করছিলেন তাঁরা। আর সেখানেই মুখ ফসকে বেরিয়ে গেল বিস্ফোরক কথা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফাঁসি চাই বলে শ্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা।

রবিবার মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুরের শহিদ মোড়ে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ এবং ২ নম্বর ব্লক নিয়ে আরজিকরের ঘটনার প্রতিবাদে দোষির ফাঁসির দাবিতে চলছিল ধর্ণা কর্মসূচি। উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেন, দুই ব্লক সভাপতি, জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম সহ অঞ্চল এবং ব্লকের নেতারা। কর্মসূচি শেষের মুহূর্তে অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবিতে উঠছিল স্লোগান।সেই সময় হঠাৎ মন্ত্রী তাজমুল হোসেনের ছায়া সঙ্গী তথা জেলা তৃণমূলের সম্পাদক শেখ মঙলুদ্দিন স্লোগান দেন মমতা ব্যানার্জির ফাঁসি চাই। পাল্টা স্লোগানে মন্ত্রী তাজমুল বাবু সহ প্রত্যেকেই বলে দেন ফাঁসি চাই ফাঁসি চাই। যদিও মুহূর্তের মধ্যেই নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে স্লোগানকারীর দিকে তাকিয়ে থাকেন তৃণমূল নেতারা। এই ভিডিও ভাইরাল হতেই ব্যাপক শোরগোল সামাজিক মাধ্যমে।

 

 

যদিও হরিশ্চন্দ্রপুর ১এ-ব্লক সভাপতি জিয়াউর রহমান জানান এটা মুখ ফসকে বেরিয়ে গিয়েছে। এই নিয়ে ওই নেতাকে সতর্ক করা হয়েছে। কিন্তু বিরোধীরা এই নিয়ে ব্যাপক কটাক্ষ করেছেন। কংগ্রেস এবং সিপিএমের অভিযোগ যারা প্রকৃত দোষী তাদের আড়াল করার চেষ্টা হচ্ছে। তৃণমূল নেতারা নিজেরাই জানেন না কি স্লোগান দিতে হবে। তাই এই ধরনের স্লোগান হচ্ছে। বিজেপির দাবি এদেরকে গ্রেপ্তার করা হোক। গোটা ঘটনা নিয়ে ব্যাপক অস্বস্তিতে তৃণমূল।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।