সংক্ষিপ্ত
পুরীর মতই দিঘায় তৈরি হচ্ছে জগন্নাথ ধাম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প। এদিন নির্মাণকাজ খতিয়ে দেখেন মুখ্যমন্ত্রী।
দিঘায় রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন ঠাসা কর্মসূচির পর তিনি দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের নির্মাণকাজ পরিদর্শন করেন। খতিয়ে দেখেন প্রজেক্ট এলাকা। কথা বলেন দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেছেন যেভাবে কাজ এগিয়ে যাচ্ছে তাতে তিনি খুশি। আশা করছেন আগামী বছরের মধ্যে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে। এদিন জগন্নাথ মন্দিরের কাজ দেখতে গিয়ে মমতা ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়কের উপহার পাওয়া জগন্নাথ- বলরাম ও সুভদ্রার রথের মডেলও মন্দির কর্তৃপক্ষেপ হাতে তুলে দেন।
পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের সঙ্গে মিল রেখেই দিঘার জগন্নাথ মন্দির তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে । পুরীর মতই এখানে থাকবে ভোগ ঘর, বাসর ঘর, রথ রাখার জায়গা। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মত আদলেই দিঘার মন্দির নির্মাণ করা হচ্ছে। পুরীর মন্দিরের মতই উঁচু হবে বলেও সূত্রের খবর। দিঘায় পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতেই মুখ্যমন্ত্রীর এই উদ্যোগ।
দিঘার মন্দির নির্মাণের জন্য বাইরে থেকে পাথর আনা হচ্ছে। রাজস্থান থেকেই আনা হচ্ছে অধিকাংশ পাথর। এখানেও দেবতার মূর্তি নির্মাণ হবে নিমকাঠ দিয়ে। এদিন গোটা মন্দির চত্ত্বর ঘুরে দেখেন মমতা। মন্দির নির্মাণের দায়িত্বে রয়েছে হিডকো। সংস্থার কাজের প্রশংসা করেন মমতা। ২০ একর জমির ওপর তৈরি হচ্ছে জগন্নাথ মন্দির। দিঘা স্টেশনের কাছে বিস্তীর্ণ বালিয়াড়ি এলাকায় তৈরি হচ্ছে নতুন ও এই রাজ্যের নিজস্ব জগন্নাথ ধাম।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'হুগলি ও হাওড়ার হিংসার পিছনে রয়েছে বিজেপি। তারা বাংলার হিংসা ছড়ানোর জন্য ভিন রাদ্য থেকে এই রাজ্যে ভাড়াটে গুন্ডা নিয়ে এসেছিল। যা আমাদের সংস্কৃতিতে নেই। বিজেপি এক সম্প্রদায়কে অন্য সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে দাঁড় করিয়ে দিয়ে হিন্দু ধর্মের অবমাননা করছে।' তিনি এদিন আরও বলেন, দাঙ্গাবাজদের কোনও ধর্ম হয় না। তারা শুধুই রাজনৈতিক গুন্ডা। 'আমি রাজ্যের সবাইকে শান্ত থাকার আবেদন জানাচ্ছি'- বলেও মন্তব্য করেন। তিনি আরও বলেন, এজাতীয় আশান্তিতে কখনই উস্কানি দেবেন না। তিনি হিন্দু-মুসলিম প্রতিটি রাজ্যবাসীর কাছেই সংযত থাকার আবেদন জানিয়েছেন।
এদিনের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে নিশানা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহকে। তিনি বলেন, 'বিজেপি বলেছে বিহারে ক্ষমতায় এলে দাঙ্গাবাজদের উল্টে ঝুলিয়ে দেওয়া হবে। তাহলে তারা এই রাজ্যে গুন্ডাদের সঙ্গে তা না করে উস্কানি দিচ্ছে কেন? এটা বাংলার সমস্যা বলেই?' তারপরই তিনি কটাক্ষ করে বলেন দাতব্য শুধুমাত্র বাড়িতেই হয়! সম্প্রতি বিহারে সাসারামে রাম নবমীর মিছিলকে কেন্দ্র করে আশান্তি ছড়িয়ে পড়েছিল। সেই সময় অমিত শাহ ওই রাজ্য সফর করেন। তখনই তিনি দাঙ্গাবাজদের ও নীতিশ কুমারকে লক্ষ্য করে কড়া বার্তা দেন।