সংক্ষিপ্ত
সিঙ্গুরের চাষিদের একাংশের মূল দাবি হল, চাষের অযোগ্য জমিকে পুনরায় চাষের যোগ্য করে তুলতে হবে, নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক করতে হবে, অধিগ্রহণ করার আগে জমিতে চাষিদের যা যা অধিকার ছিল সেগুলো ফেরাতে হবে।
সিঙ্গুরের জমি পুনরায় চাষের যোগ্য করে তুলতে সরকারের কাছে সাত দফা দাবি তুলে ধরেছেন সিঙ্গুরের বন্ধ্যা জমি পুর্নব্যবহার কমিটি। গত শুক্রবার সাত দফা দাবি নিয়ে নবান্ন হিয়েছিলেন ২১ সদস্যের কমিটির সদস্যরা। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা না হওয়ায় ইমেল মারফত চিঠি পাঠায় তাঁরা।
২০১৬ সালে অগস্ট মাসে সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে সিঙ্গুর অধিগ্রহণকে অবৈধ ঘোষণা করা হয়। এরপর প্রায় হাজার একর জমি চাষযোগ্য করে কৃষকদের ফেরানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর কেটে গেল আট বছর কেটে গেলেও কোনও সুরাহা হয়নি।
এদিকে সিঙ্গুরের চাষিদের একাংশের মূল দাবি হল, চাষের অযোগ্য জমিকে পুনরায় চাষের যোগ্য করে তুলতে হবে, নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক করতে হবে, অধিগ্রহণ করার আগে জমিতে চাষিদের যা যা অধিকার ছিল সেগুলো ফেরাতে হবে। অধিগ্রহণ করা জমি চাষের যোগ্য না হলে সেখানে কারখানা তৈরি করতে হবে। অধিগৃহীত জমির ১০০ একরে যে ছোট শিল্প ছিল সেগুলো ফেরাতে হবে।
জমি পুর্নব্যবহার কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক দুধকুমার ধাড়া বলেন, ‘জমি ৩টি কাজে ব্যবহৃত হয়। চাষ, শিল্প না হলে বাস। কিন্তু, সিঙ্গুরের জমিতে চাষও হচ্ছে না, বাসও হচ্ছে না আর শিল্পও হচ্ছে না। শুধুমাত্র ৩০০ একরে চাষ হচ্ছে। বাকি জমিটাও যাতে ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হয়, সেই কারণে এই কমিটি তৈরি হচ্ছে।’ এদিকে আবার সিঙ্গুর ব্লক তৃণমূল সভাপতি আনন্দমোহন বলেন, কমিটির সদস্যদের দাবি ঠিক নয়। নিজেদের স্বার্থ পূরণের জন্য এসব বলা হচ্ছে। সিঙ্গুরের ৯০ শতাংশ জমিতেই চাষ হয় বলে দাবি তাঁর। কিছু জমির মালিক বাইরে থাকেন বলে তাঁদের জমিতে চাষ হয় না।