Crime News: শেষ মুহুর্তে ভেস্তে গেল পরিকল্পনা। পুলিশে অভিযানে ফাঁস জালনোট পাচার চক্রের কারবার। কোথায় পাচার করা হচ্ছিল নোটগুলো? বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন…

Crime News: পাচারের আগে জাল নোট সন্দেহে গ্রেফতার যুবক। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার হাড়োয়া থানার খাসবালান্দা গ্রাম পঞ্চায়েতের ঝাঁঝা এলাকার ঘটনা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাত পৌনে ১১ টা নাগাদ কুড়ি হাজার টাকা নিয়ে পাচারের উদ্দেশ্যে ৩৬ বছরের সইফুদ্দিন মোল্লা দাঁড়িয়ে ছিল ঝাঁঝা এলাকায়। 

জানা গিয়েছে, তৎক্ষণাৎ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হানা দেয় হাড়োয়া থানার পুলিশ। হাড়োয়া থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক প্রতাপ মোদক এবং পিসি অফিসার গৌতম নস্করের নেতৃত্বে চলে অপারেশন। তারপর শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ। পুলিশের প্রাথমিক জেরাতেই সে শিকার করে তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া কুড়ি হাজার টাকায় পুরোটাই জাল নোট যদিও এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হাড়োয়া থানার পুলিশ।

তার পাশাপাশি ধৃত ওই যুবককে বসিরহাট মহকুমা আদালতে পাঠানো হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত যুবককে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এই তদন্ত আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে চান এবং তার পাশাপাশি গত কয়েকদিনে বসিরহাটের বেশ কয়েক জায়গায় উদ্ধার হওয়া জাল নোটের সঙ্গে এর কোন যোগসূত্র রয়েছে কিনা সমস্তটাই খতিয়ে দেখছে হাড়োয়া থানার পুলিশ। 

সূত্রের খবর উদ্ধার হওয়া কুড়ি হাজার টাকা বাতিল হওয়া ২০০০ টাকা এবং নতুন ৫০০ টাকা তবে নোটগুলি জাল কিনা খতিয়ে দেখছে হাড়োয়া থানার পুলিশ। যদিও পুলিশের প্রাথমিক জেরায় ওই যুবক শিকার করেছে তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া সমস্ত নোটগুলি জাল। পুলিশ সূত্রে আরও খবর ধৃত যুবকের নাম সইফুদ্দিন মোল্লা বয়স ৩৬ বছর তার বাড়ির ন্যাজাট থানার অন্তর্গত খাঁকশাকদা ভেলোপাড়া এলাকায়।

অন্যদিকে, বোমা আতঙ্কে কাঁপল করণদিঘির মতিগঞ্জ গ্রাম! মাছ ব্যবসায়ীর বাড়িতে পরপর দুটি বোমা নিক্ষেপ — আতঙ্কে পরিবার সহ গোটা এলাকা। ঘটনা করণদিঘী থানার অন্তর্গত আলতাপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের মতিগঞ্জ এলাকায়। অভিযোগ, পেশায় মাছ ব্যবসায়ী সেকেন্দার আলির বাড়িতে রাতের অন্ধকারে পরপর দুটি বোমা ছুঁড়ে মারে একদল দুষ্কৃতী।

পুরো ঘটনাটি ধরা পড়ে সিসিটিভি ক্যামেরায়, যা ইতিমধ্যেই পুলিশের হাতে পৌঁছেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের একটি নম্বর থেকে হোয়াটসঅ্যাপ কল আসে সেকেন্দার আলির ফোনে। ওই কলের মাধ্যমে তাকে হুমকি দিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করা হয়।

টাকা না দিলে পরিণতি খারাপ হবে— এমনই ভয় দেখানো হয়েছিল। এর ঠিক পরেই ঘটে বোমা হামলার ঘটনা। আতঙ্কে পরিবারের সদস্যরা ও গ্রামবাসীরা তড়িঘড়ি খবর দেন পুলিশে। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় করণদিঘী থানার পুলিশ। চলছে গোটা ঘটনার বিস্তৃত তদন্ত। কোথা থেকে আসছে এই হুমকি? কারা এই হামলার নেপথ্যে— তার খোঁজে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত দোষীদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।