সংক্ষিপ্ত

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। সেই একই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকে ব্যাঙ্কশাল আদালতের সামনে একগুচ্ছ প্রশ্ন রাখলেন মানিত ভট্টাচার্য। পাশাপাশি আদালতে তাঁর কাতর আর্জি 'আমাকে এমন রায় দিন , রাতে ঘুমালে সকালে যেন চোখ না খোলে।' পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট করে এদিন আদালতে জানিয়েছেন তিনি প্রাথমিক শিক্ষা সংদের সভাপতি ছিলেন। কিন্তু ইডির চার্জশিটে তাঁকে কী করে যুক্ত করা হল তাই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বলেন, 'আমাকে ১০০০ পাতার যে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে তাতে উল্লেখ রয়েছে যে সম্পূর্ণটাই নবম দশম আর অশিক্ষক কর্মচারীদের নিয়োগের সঙ্গে জড়িত। তাহলে আমি কী করে এখানে এলাম। প্রাথমিক অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের কোনো ব্যবস্থা নেই। তাহলে আমি কী করে এই মামলায় যুক্ত হলাম? আমি তো কোনো ভাবে এর সঙ্গে জড়িত নই।' তার কথায় তিনি প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত ছিলে। উ

এদিন তিনি আরও বলেন, 'আমি যেদিন গ্রেপতার হই তদন্তকারী সংস্থা একটি চিঠি নিয়ে আসে। কিন্তু সেই চিঠিতে কারও সই ছিল না। মাইলর্ড যেখানে আইন বলছে সই ছাড়া চিঠির আইনি বৈধতা নেই। তাহলে কী করে এই চিঠির ভিত্তিতে আমাকে কাস্টোটিতে নেওয়া হল?' পাশাপাশি তিনি প্রশ্ন তোলেন, চন্দন মন্ডল বা অন্যরা চাকরি দিয়ে থাকলে তিনি কী করবেন? তিনি আরও বলেন,এই চিঠিতে জনৈক চাকরি প্রার্থীর নাম উল্লেখ রয়েছে। যিনি উত্তর দিনাজপুরের। চিঠি অ্যাড্রেস করা ছিল মুখ্যমন্ত্রীকে। সেই চিঠি দেখিয়ে কী করে আমাকে কাস্টোডিতে নেওয়া হল আমি বুঝতে পারছিনা - এই প্রশ্নও এদিন আদালতের সামনে উত্থাপন করেন মানিক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, তিনি আইন কলেজের প্রিন্সিপাল ছিলাম। আইন এতোদিন পড়েছি। কিন্তু ইডি হেফাজতে আসার পর থেকে তিনি আইন ভুলতে বসেছেন। পাশাপাশি তাঁর প্রশ্ন, এই দেশে কী গণতন্ত্র নেই। এটা কী পুলিশ স্টেট হয়েছে গিয়েছে? মৌলিক অধিকার বলে কিছু নেই? এ তো সিনেমা তে হয়। রোজ আসছি । তলে যাচ্ছি । তারপরই তিনি বলেন, 'স্যার হয় আমাকে ছেড়ে দিন না হলে এমন একটা অর্ডার দিন যাতে আজ রাতে ঘুমলে কাল সকালে যেন আমার চোখ না খোলে।'

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। সেই একই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে যুব তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। ইডির দাবি শান্তনুর সঙ্গে যোগসাজেস করেই অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের টাকার বিনয়মে চাকরি পাইয়ে দিতে সাহায্য করেছিলেন মানিক। ইডি সূত্রে দাবি, শান্তনু চাকরিপ্রার্থীদের নাম সুপারিশ করত। তারই ভিত্তিকে শিক্ষা ক্ষেত্রে চাকরির ব্যবস্থা করে দিতেন মানিক। মানিকের বাড়ি থেকেও প্রচুর নথি উদ্ধার হয়েছে।