সংক্ষিপ্ত
‘অনুব্রত মণ্ডল কার কাছ থেকে কত টাকা নিয়েছিলেন, সব জানেন মণীশ কোঠারি’, হিসাবরক্ষকের ৬ দিন ইডি হেফাজত। এবার মণীশের মুখোমুখি বসিয়েই অনুব্রত মণ্ডলকে কড়া জিজ্ঞাসাবাদ করবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
গরু পাচার কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের হয়ে টাকা নিয়েছেন তাঁর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারি। এমনকি, লেনদেনের সমস্ত হিসেবও আগাগোড়া জানতেন তিনি। এই অভিযোগেই তাঁকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এবার তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার আর্জিতে সম্মত হল দিল্লির আদালত। মণীশ কোঠারিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৬ দিনের হেফাজতে পেল ইডি।
মণীশের আইনজীবী দাবি আদালতে জানিয়েছিলেন যে, মণীশের কিছুদিন আগেই জটিল অস্ত্রপচার হয়েছে। তাঁকে আটক করে রাখলে তাঁর শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। কিন্তু, আদালতের বিচারপতি জানিয়ে দিয়েছেন যে, তদন্তের স্বার্থে মণীশ কোঠারি ইডি হেফাজতেই থাকবেন। তাঁর শারীরিক অবস্থার দেখাশোনা করার জন্য প্রত্যেক দিন ৩০ মিনিট ধরে পর্যবেক্ষণ চলবে। এই নির্দেশ শোনার পরেই আদালতের অভ্যন্তরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন মণীশ কোঠারি। তাঁর স্ত্রীয়ের চোখেও জল দেখা যায়। সংবাদমাধ্যমের সামনে জোর গলায় তিনি দাবি করেন, ‘আমি একেবারেই ভুল নই। আমি সম্পূর্ণ নির্দোষ।’
যেহেতু, অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলও বারবার আর্থিক হিসেবনিকেশের বিষয়ে মণীশ কোঠারির নাম বলে এসেছেন এবং জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালীন মণীশের বয়ানেও অসঙ্গতি ধরা পড়েছিল, ফলে, তাঁকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দিল্লিতে অনুব্রতর মুখোমুখি বসিয়ে তাঁকে জেরাও করা হয়েছে। এই জেরাপর্বের মধ্যেই জটিল রহস্যের উদ্ঘাটন হবে বলেই মনে করছেন ইডি কর্তারা। যদিও, অনুব্রতর কন্যা সুকন্যা মণ্ডল এখনও পর্যন্ত ইডির মুখোমুখি হতে চাননি। শারীরিক সমস্যার কারণে ৭ দিন সময় চেয়ে নিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন-
মায়ের দেহ কেটে টুকরো টুকরো করে প্ল্যাস্টিকের প্যাকেটে ঢুকিয়ে আলমারিতে রেখে দিয়েছেন মেয়ে, মুম্বইয়ে হাড় হিম করা ঘটনা
মরে যাওয়ার আগে বাবাকে সেলফি তুলে পাঠাল ছেলে, আত্মহত্যার কারণ জেনে হতবাক বাবা
পার্টির আলো-আঁধারিতে জামাকাপড় খুলে ফেলছে নিজের মেয়ে, তারই ভিডিও অফিসের সহকর্মীর ফোনে দেখলেন বাবা