সংক্ষিপ্ত

২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে শক্তি নায়েককে দাঁতনের টিকিট দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু তৃণমূলের বিক্রমচন্দ্র প্রধানের কাছে পরাজিত হন বিজেপি নেতা

 

ভোটের মধ্যেই বড় ধাক্কা বঙ্গ বিজেপির জন্য। ভোট শুরুর আগেই দল ছাড়লেন বিজেপির পরিচিত মুখ শক্তি নায়েক। তিনি বিধানসভার কোর কমিটির সদস্যের পাশাপাশি পশ্চিমমেদিনীপুর জেলার জেলা কমিটির সদস্যও ছিলেন। তিনি মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের দাঁতন বিধানসভারমোহনপুরের বাসিন্দা।

২০২১ সালের বিধানসভা ভোটে শক্তি নায়েককে দাঁতনের টিকিট দিয়েছিল বিজেপি। কিন্তু তৃণমূলের বিক্রমচন্দ্র প্রধানের কাছে পরাজিত হন বিজেপি নেতা। সাংবাদিক সম্মেলন করেই দল ছাড়লেন বিজেপি নেতা। তবে এবার তাঁর গন্তব্য কোন দলে তা অবশ্য তিনি জানাননি। তিনি দলের সমস্ত পদ থেকে একই সঙ্গে ইস্তফা দিয়েছেন বলেও জানিয়ে দেন।

মহিলাদের বিক্ষোভে বাধ্য হয়ে গ্রাম ছাড়লেন মন্ত্রী উদয়ন গুহ, সন্দেশখালি খোঁচা নিশীথ প্রামাণিকের

দল ছাড়ার কারণ হিসেবে শক্তি নায়েক বিজেপির গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কথাই বলেছেন। তিনি বলেন বর্তমানে নিচু তলার কর্মীরা কঠোর পরিশ্রম করছেন। কিন্তু দলের ওপরের তলার নেতারা ২০২৪ সালের জন্য নয়, ২০২৬ সালের জন্য নিজেদের মধ্যে মারামারি করছেন। তিনি আরও বলেন, গত লোকসভা নির্বাচনে তিনি দাঁতনের প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু বর্তমানে দাঁতন থেকে অনেকেই রয়েছেন যারা বিজেপির প্রার্থী হতে চান। তিনি আরও বলেন, দলে পুরনোদের ধরেধরে বাদ দিয়ে দেওয়ার কাজ চলছে। তাই তিনি নিজে থেকে এগিয়ে এসেই দলত্যাগ করেন।

PM Modi: রাম নবমীর আগের দিনই দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলকে তোপ মোদীর, বালুরঘাটেও তুললেন সন্দেশখালি ইস্যু

 

শক্তি নায়েক আরও বলেন, ২০২১ সালের আগে বিজেপিতে এমন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ছিল না। মেদিনীপুরের রাজনীতিতে শক্তি নায়েক দিলীপ ঘোষের ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত। তিনি নিজেই জানিয়েছেন, গত লোকসভা নির্বাচনে তিনি সংযোজক হিসেবে কাজ করেছিলেন। জিতিয়েও ছিলেন। কিন্তু তার পরেও তাঁর যোগ্যতা মর্যাদা দেয়নি তাঁর দল বিজেপি। তিনি আরও বলেন, নতুনদের সঙ্গে তিনি মানিয়ে চলতে পারছিলেন না। অনেক দিন ধরেই পার্টিতে এই বিষয়ে আলোতনা চেয়েছিলেন। কিন্তু ওপর তলার নেতারা এতে কোনও সহযোগিতা করেননি। তাই বাধ্যহয়েই দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, 'বর্তমানে বিজেপিতে যোগ্যতার কোনও ব্যাপার নেই। চামচাগিরি করতে পারলে নেতা হওয়া যাব।' তিনি আরও বলেন তাঁকে শুধুমাত্র একটি জেলা কমিটির সদস্য করে রেখে দেওয়া হয়েছে। যাকে জেলা কমিটির প্রধান করা হয়েছে সে অত্যন্ত দুর্বল বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে সমস্ত বিষয় জেলা কমিটির প্রধানকে জানিয়ে দল ছেড়েছেন বলেও জানিয়েছেন শক্তি নায়েক। তবে মেদিনীপুরের এক বিজেপি নেতা আরও বলেছেন, কে দলে থাকবেন সেটা তাঁর ব্যক্তিগত ব্যাপার। তবে শক্তি নায়েকের দায়বদ্ধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।

Mamata Banerjee: অধীরগড়ে দাঁড়িয়ে সিপিএম-কংগ্রেসকে ধুয়ে দিলেন মমতা, তোপ বিজেপির বিরুদ্ধেও