সংক্ষিপ্ত

গত শনিবার রাত ৩:৩০ নাগাদ রামকৃষ্ণ মিশনের একটি বাড়িতে প্রায় জনা ত্রিশেক দুষ্কৃতী হানা দেয়। বাড়ির ভেতর ঢুকে কর্মীদের মারধর করার পাশাপাশি ৭ জনকে তুলেও নিয়ে যায়।

জলপাইগুড়িতে জমি মাফিয়াদের তাণ্ডব! রামকৃষ্ণ মিশন থেকে ৭ জনকে তুলে নিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি, কখনও শোনা যায়নি। রামকৃষ্ণ মিশনে হামলার কথা চাউর হতেই রাজ্য জুড়ে শোরগোল পড়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যে এসে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন এই ইস্যু নিয়ে। ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসছে একাধিক মারাত্মক তথ্য।

জানা গিয়েছে স্থানীয় কেজিএফ দলকে ব্যবহার করে ওই বাড়ি এবং জমি দখলের জন্য জমি মাফিয়ারা এমনটা করছে বলে খবর। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক তরজা। গত শনিবার রাত ৩:৩০ নাগাদ রামকৃষ্ণ মিশনের একটি বাড়িতে প্রায় জনা ত্রিশেক দুষ্কৃতী হানা দেয়। বাড়ির ভেতর ঢুকে কর্মীদের মারধর করার পাশাপাশি ৭ জনকে তুলেও নিয়ে যায়। এরপর শহরের নানান এলাকায় তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

বর্তমানে ওই জমি ফিরে পাওয়ার জন্য বর্তমানে সরকারি ভূমি রাজস্ব দফতর, থানা সহ নানান জায়গায় ছুটতে হচ্ছে রামকৃষ্ণ মিশনের সন্ন্যাসীদের। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, কে জি এফ দলকে ব্যবহার করে ওই জমি হাতাতে চাইছে স্থানীয় জমি মাফিয়ারা।

উল্লেখ্য, শিলিগুড়ির চারমাইল অঞ্চলের ৩১ নং জাতীয় সড়কের পাশে এস কে রায় নামের এক ব্যক্তি সেবক হাউস নামের একটি বাড়ি রামকৃষ্ণ মিশনকে দান করে গিয়েছিলেন। প্রায় ২ একর ওই জমির বর্তমান বাজারদর প্রায় ১০০ কোটি টাকা। এবার ওই জমির ওপর নজর পড়েছে জমি মাফিয়াদের। বেলুর মঠকে ওই জমিটি দান করা হয়েছিল। নিয়ম অনুসারে, যে জেলায় ওই বাড়ি সেখানকার রামকৃষ্ণ মিশন ওই বাড়িটির দায়িত্ব নেবে। সেই অনুসারে সেবক হাউসের দায়িত্ব ছিল জলপাইগুড়ির রামকৃষ্ণ মিশনের কাঁধে। এবার এই বাড়ির ওপরেই জমি মাফিয়াদের নজর পড়েছে বলে খবর।

ঘটনা নিয়ে যদি কেউ মুখ খোলে তাহলে প্রাণহানির হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে খবর। এরপর ওই একই দলের তত্ত্বাবধানে প্রায় ২০ জন মতো মহিলাকে মিশনের সেবক হাউসে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। জমি দখলের জন্যই এমনটা করা হয়েছিল। তবে পুলিশের চাপে পড়ে সেখান থেকে সরে যেতে হয় তাঁদের। যদিও বিষয়টি নিয়ে এখনও কোনও সুরাহা হয়নি।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।