জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকে বিডিওর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে খুনের অভিযোগ থাকলেও তাঁকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয়রা। সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। অথচ বিডিওর কোনো খোঁজ মিলছে না 

দত্তাবাদে স্বর্ণব্যবসায়ীকে খুন ও অপহরণের ঘটনায় অভিযুক্ত রায়গঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মন। তাঁর নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকলেও পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। অন্যদিকে দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁকে দেখা যাচ্ছে না তাঁর অফিসে। এই অবস্থায় রায়গঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মনের নামে নিখোঁজ পোস্টার পড়ল জলপাইগুড়ির একাধিক স্থানে।

জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকে বিডিওর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে খুনের অভিযোগ থাকলেও তাঁকে গ্রেপ্তার করতে না পারায় ক্ষোভে ফুঁসছে স্থানীয়রা। সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। অথচ বিডিওর কোনো খোঁজ মিলছে না। টানা চার-পাঁচ দিন ধরে তিনি অফিসে আসেননি বলেই জানা গেছে।

শনিবার রাজগঞ্জ বিডিও অফিসের সামনে নাটকীয়ভাবে লিফলেট বিলি করল স্থানীয় এসএফআই সদস্যরা। লিফলেটে লেখা ছিল—“রাজগঞ্জের বিডিও নিখোঁজ, সন্ধান চাই।” পথ চলতি সাধারণ মানুষকেও টোটো ও বাইক থামিয়ে একই দাবি জানাতে দেখা যায়। এরপর অফিসের গেটের দু’পাশে সেই লিফলেট সাঁটানো হয়।

এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে দিলদার মোহাম্মদ জানান, গরিব মানুষ, ছাত্র বা চাকরিপ্রার্থীরা আন্দোলন করলে পুলিশ দ্রুত সক্রিয় হয়। অথচ একজন খুনে অভিযুক্ত প্রশাসনিক কর্তাকে ধরতে এত সময় লাগছে। আদালতের নির্দেশে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পরও তাঁকে গ্রেপ্তার করতে না পারা পুলিশের ব্যর্থতা বলে অভিযোগ তুলেছে এসএফআই। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলছেন, বিডিওর বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাঁকে বাগে আনতে না পারা প্রশাসনের অক্ষমতা কি ইঙ্গিতবাহী?

দত্তাবাদে স্বর্ণব্যবসায়ীকে খুনের ঘটনায় আগেই নাম জড়িয়ে পড়েছিল বিডিও প্রশান্ত বর্মনের। কিন্তু পুলিশ দীর্ঘ টানবাহানা করায় তাকে গ্রেফতার করেনি। উল্টে বিডিওকে নানাভাবে সাহায্য করছে। যাইহোক পুলিশ নিস্ক্রিয় হলেও স্থানীয় বাসিন্দা প্রশান্ত বর্মনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। রায়গঞ্জের বিডিওকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিও জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।