সংক্ষিপ্ত
হামিদুর রহমান বলেছেন,'গ্রামবাসীরদের তরফে একটু বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে গিয়েছে। এর জন্য আমরা দুঃখিত। ব্যাপারটা আমরা দেখছি... কিন্তু ওই মহিলাও তো অন্যায় করেছেন। স্বামী সন্তান ছেড়ে দুঃশ্চরিত্রা হয়েছে।
চোপড়ার সালিশি সভায় নির্যাতিতা মহিলার পাশে না দাঁড়িয়ে অভিযুক্তের পক্ষেই সওয়াল করেন স্থানীয় বিধায়ক হামিদুর রহমান। স্থানীয় সূত্রের খবর মূল অভিযুক্ত জেসিবি বিধায়কের ডান হাত হিসেবেই এলাকায় পরিচিত। যদি বিধায়ক এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু নির্যাতিতা মহিলার চরিত্র নিয়েই প্রশ্ন তুলে দিলেন।
বিধায়ক হামিদুর রহমানের বক্তব্যঃ
হামিদুর রহমান বলেছেন,'গ্রামবাসীরদের তরফে একটু বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে গিয়েছে। এর জন্য আমরা দুঃখিত। ব্যাপারটা আমরা দেখছি... কিন্তু ওই মহিলাও তো অন্যায় করেছেন। স্বামী সন্তান ছেড়ে দুঃশ্চরিত্রা হয়েছে। এখন আমাদের সমাজের মধ্যে একটা বিচার হয়েছে। ' বিধায়ক মহিলাকে উদ্দেশ্যে করে বলেছেন, তাঁর কার্যকলাপ অসামাজিক। তিনি আরও বলেছেন, মুসলিম সমাজের কিছু নিজস্ব নিয়ম রয়েছে। ন্যায় বিচার রয়েছে। তারপরই বিধায়ক বলেন, আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তিনি আরও বলেন, তারা অপরাধীকে গ্রেফতার করতে বলেছেন।
স্থানীয় সূত্রের খবর তরুণ আর তরুণী কয়েক দিন আগেই অন্যত্র গিয়ে বিয়ে করে। সালিশি করার জন্য তাদের গ্রামে ডেকে পাঠান হয়। সেখানেই সালিশি সভা বসিয়ে মারধর করা হয়। সূত্রের খবর , বিধায়কই সালিশি সভা ডাকার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি নিজেই আইনের ওপর ভরসা না রেখে 'সঠিক বেঠিক ' বিচার করতে বসেন। বিধায়ক আরও বলেছেন, 'আপনারা সংবাদমাধ্যমে বিষয়টা নিয়ে বেশি খুঁচিয়ে বেড়াচ্ছেন। মহিলা নিজে অভিযোগ দায়ের করেনি। আর ওই মহিলা স্বামী ছেড়ে গিয়ে অসামাজিক কাজ করেছে। তাাই গ্রাম্য বৈঠকে ডেকে যেমন হয় তেমনই বিচারসভা বসেছিল।'
এই ভিডিও শেয়ার করে অমিত মালব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সরকারের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় বলেছেন, 'পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের শাসনের কুৎসিত চেহারা।' অমিত মালব্য বলেছেন, এক মহিলাকে নির্দয়ভাবে মারধর করা হচ্ছে। তাজেমুল বলে এক ব্যক্তি মারধর করেছেন। তাজেমুল এলাকায় জেসিবি নামে জনপ্রিয়। তারপরেও অমিত মালব্য বলেছেন, এই ব্যক্তি সালিশি সভার মাধ্যমে দ্রুত বিচার দেওয়ার জন্য এলাকায় বিখ্যাত। চোপড়ার বিধায়ক হামিদুর রবমানের ঘনিষ্ট সহযোগী তাজেমুল- এমনটাই দাবি করেছেন অমিত মালব্য। তিনি আরও বলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেস শাসিত পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে। রাজ্যের প্রতিটি গ্রামে একটি করে সন্দেশখালি রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় মহিলাদের জন্য অভিশাপ! অমিত মালব্যের অভিযোগ, বাংলায় আইনশৃঙ্খলা নেই। তারপরই অমিত মালব্যের প্রশ্ন 'মমতা বন্দ্যোপাধ্য়য় এই দানবের বিরুদ্ধে কাজ করবেন নাকি শেখ শাহজাহানের পক্ষে দাঁড়িয়ে তাকে রক্ষা করবেন?' অমিত মালব্য ভিডিওর সঙ্গে করা পোস্টে স্থানও বলে দিয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে- লক্ষ্মীরান্তপুর, চোপড়ায়। এই স্থান উত্তর দিনাজপুরে।