সংক্ষিপ্ত
এই রাজ্য থেকে বিজেপির ১২ জন সাংসদ সাংসদ রয়েছে। গত নির্বাচনে ছিল ১৮ জন। গতবারে বিজেপি চার জনকে মন্ত্রী করেছিল। কিন্তু এবার দিল্লির বিজেপি কতজনকে মন্ত্রী করবে
লোকসভা নির্বাচন ২০২৪এ এই রাজ্য থেকে বিজেপির আসন সংখ্যা অনেকটাই কমেছে। তবে বিজেপির দাপটে এই রাজ্যে এবারও খাতা খুলতে পারেনি সিপিএম। একটি মাত্র আসন পেয়েছে কংগ্রেস। আর মাত্র দুই বছর পরেই এই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। - সব দিক বিবেচনা করেই নরেন্দ্র মোদীর তৃতীয় সরকার সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে রাজ্য বিজেপির নেতাদের অনুমান। আর তাতেই রাজ্যের দুই বিজেপি সাংসদের ভাগ্যে মন্ত্রিত্বের শিঁকে ছিড়তে পারে।
এই রাজ্য থেকে বিজেপির ১২ জন সাংসদ সাংসদ রয়েছে। গত নির্বাচনে ছিল ১৮ জন। গতবারে বিজেপি চার জনকে মন্ত্রী করেছিল। কিন্তু এবার দিল্লির বিজেপি কতজনকে মন্ত্রী করবে- তাই নিয়েই জল্পনা শুরু হয়েছে। শুক্রবার বিজেপির সংসদীয় কমিটির বৈঠক। সেখানে দেশের বিজেপির সমস্ত জয়ী প্রার্থীদের উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
দিল্লি বিজেপি সূত্রের খবর এই রাজ্যে খারাপ ফলের জন্য রাজ্য বিজেপি নেতাদের ওপশ রীতিমত ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব। কিন্তু তারপরেও সব দিক বিবেচনা করে রাজ্যের দুই সাংসদকে জায়গা দেওয়া হতে পারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্বে। সেই দৌড়ে সবথেকে এগিয়ে রয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায় ও সৌমিত্র খান। গতবারের জেতা মন্ত্রীদের মধ্য়ে এবারও জমিতেছেন জন বার্লা আর শান্তনু ঠাকুর। সূত্রের খবর তাদের আাপাতত ব্যাক বেঞ্চে রাখা হতে পারে। মূলত দক্ষিণবঙ্গের সংগঠনের কথা মাথায় রেখেই তমলুকের জয়ী বিজেপি প্রার্থী ও বিষ্ণুপুরির জয়ী প্রার্থী সৌমিত্র খাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী করতে পারে। তবে পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব কাউকে দেওয়া হবে না বলেও সূত্রের খবর।
যদিও শরিকদের দর কষাকষিতে রীতিমত নাজেহার অবস্থা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। দুই জোট সরিক চন্দ্রবাবু নায়ডু আর নীতিশ কুমার- ইতিমধ্যেই দর কষাকষি শুরু করে দিয়েছেন। ভারতের রাজনীতিতে নীতিশ কুমার আর চন্দ্রবাবু নায়ডুর অতীত অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর নয়। দুজনেই নিজেদের শর্তে চলেছে। দল বদল বা জোট বদল করতে একবারের বেশি দুই বার ভাবেন না। কিন্তু এবার নীতিশ আর চন্দ্রবাবু- দুই রাজনীতিবিদের ভরসায় সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন মোদী। সুযোগ বুঝে তাঁরাও দর হাঁকাতে শুরু করেছেন।