সংক্ষিপ্ত

টিভিতে ভোটের খবর শুনছিলেন তিনি রাষ্ট্রীয় হিন্দু পরিষদের সভাপতি গোবিন্দ পরাশর। কিন্তু একের পর এক বিজেপি প্রার্থীর হারের খবরে হতাশ হয়েছিলেন।

 

৪০০ পার স্লোগান দিয়ে ভোট প্রচার শুরু হয়েছিল। কিন্তু বিজেপি-র জয় রথ ৩০০ পার করতে পারেনি। রীতিমত হতাশ বিজেপির নেতা কর্মীরা। যদিও প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বারের জন্য শপথ নিতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তার আগেই ঘটে গিয়েছিল এক অদ্ভূতকাণ্ড। রাষ্ট্রীয় হিন্দু দলের এক কর্মকর্তা। বিজেপির ফলাফলে রীতিমত হতাশ হয়ে একটি আস্ত টিভি খুলে ফেলে পুড়িয়ে ফেললেন। সেই ঘটনাই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে।

মনে করা হচ্ছে টিভিতে ভোটের খবর শুনছিলেন তিনি রাষ্ট্রীয় হিন্দু পরিষদের সভাপতি গোবিন্দ পরাশর। কিন্তু একের পর এক বিজেপি প্রার্থীর হারের খবরে হতাশ হয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত মেজাজ ঠিক রাখতে পারেনি তিনি। রেগে, মেজাজ হারিয়ে শেষপর্যন্ত দেওয়ালে ঝোলান টিভি খুলে নেন। বাড়ির বাইরে আছড়ে ফেলেন। তারপর সেটিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। সেই ঘটনাই ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে পরাশর যে টেলিভিশন সেট দেওয়াল থেকে খুলে নিয়েছেন। তারপর তা আছড়ে ফেলে দেন। টিভি সেটে একাধিকবার লাথি মারেন। প্রথমে সেটি লাথি মেরে ভেঙে ফেলার চেষ্টা করেন। তাতে সফল না হওয়ায় তিনি টিভিতে আগুন লাগিয়ে দেন।

দেখুন সেই ভিডিওটিঃ

 

 

 

যদিও দলীয়কর্মীদের গোবিন্দ পরাশর বলেছেন, দেশ আরও একবার তাদের হাতে চলে গেল যারা ভারতকে ভেঙে ভাগ করতে চায়। যদিও তাঁর এই কাণ্ডে সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমত আলোচনা হচ্ছে। অনেকেই তাঁর এই আচরণকে শিশু শুলভ বলে দাবি করেছেন। অনেকেই আবার বলেছেন, এজাতীয় আচরণ একজন নেতার কাছে কাম্য নয়। ধৈর্য্য ধরা জরুরি।

চলতি লোকসভা নির্বাচনে ২৪০টি আসন পেয়েছে। গত নির্বাচনে বিজেপির আসন সংখ্যা ছিল ৩০৩। একক দল হিসেবেই সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল। কিন্ত এবার নীতিশ আর চন্দ্রবাবু নায়ডুর সমর্থন ছাড়া সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেত না। গতবারের তুলনায় বিজেপি ৬৩টি আসন কমেছে। আর কংগ্রেস পেয়েছে ৯৯টি, গতবারের তুলনায় ৪৭টি আসন বেশি পেয়েছে।