সংক্ষিপ্ত
মোদী বলেন , 'সন্দেশখালিতে যা হয়েছে তা দেখে রাজা রামমোহন রায়ের আত্মা অবশ্যই কাঁদছে। যার জন্ম হয়েছিল এই খানাকুলে।'
আরামবাগের জনসভা থেকে সন্দেশখালি ইস্যুতে সরব হলেন প্রধাননন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেও সরব হয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ রাজ্য সরকারের কারণে বঞ্চিত হচ্ছেন এই রাজ্যের সাধারণ মানুষ। এদিনের জনসভা থেকে মোদী সরাসরি ইন্ডিয়া জোটকেও খোঁচা দিয়েছেন।
সন্দেশখালি ইস্যুতে মোদী
সন্দেশখালি ইস্যুতে মোদী সরব হন। আরামবাগের জনসভায় উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে মোদী প্রশ্ন তুলে দেন সন্দেশখালির মহিলাদের গুর্ভোগের থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কিছু লোকের ভোট বেশি গুরুত্বপূর্ণ কিনা! তিনি তৃণমূলের মা মাটি মানুষের স্লোগানের কথা উল্লেখ করে বলেন, তৃণমূল সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে কী করেছে। যা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন মা মাটি মানুষের সরকার সমগ্র দেশকে দুঃখিত করেছে। দেশের মানুষকে ক্ষুব্ধ করেছে। তারপরই তিনি বলেন, এই ঘটনায় রাজা রামমোহন রায়ের আত্মা অবশ্যই কাঁদবে। যিনি এই দেশের মানুষের জন্য কাজ করেছেন। তিনি বলেন, 'সন্দেশখালিতে যা হয়েছে তা দেখে রাজা রামমোহন রায়ের আত্মা অবশ্যই কাঁদছে। যার জন্ম হয়েছিল এই খানাকুলে।' তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের নেতা সন্দেশখালিতে অবৈধ কাজ করেছে। সেখানের মহিলারা মমতা দিদির সাহায্য চেয়েছিল। তারপরই তিনি বলেন, বিজেপি নেতারা সন্দেশখালির মহিলাদের জন্য কাজ করেছেন আর লাঠির আঘাত খেয়েছেন।
ইন্ডিয়া জোটকে খোঁচা
সন্দেশখালি ইস্যুতে ইন্ডিয়া জোটকেও নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, এই রাজ্যে জোটের সদস্যরা এখনও সন্দেশখালি ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে কোনও প্রশ্ন করতে পারেনি। তিনি আরও বলেন, গান্ধিজীর তিন বাঁদরের মত জোট সদস্যরা কান, নাক ও মুখ বন্ধ করে রেখেছে। তিনি আরও বলেন,জোটের নেতারা সন্দেশখালির বোনেদের দুঃখ দেখেনি।
দুর্নীতি ইস্যুতে মোদী
মোদী দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেন। বলেন, বাংলায় অপরাধ তৃণমূল অপরাধ ভ্রস্টাচারের নতুন মডেল তৈরি করেছে। অপরাধীকে সুরক্ষা দিতে তৃণমূল নেতারা টাকা পান। শিক্ষক নিয়োগ থেকে পুরসভা নিয়োগ -সবক্ষেত্রেই দুর্নীতি হচ্ছে। রেশন, চিটফান্ড পশুপাচার সবক্ষেত্রেই দুর্নীতি হচ্ছে।
মোদী এদিন আরামবাগের জনসভা থেকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির কথা তুলে ধরেন। বলেন। এই রাজ্যের জন্য ৪৫ লক্ষ ঘর তৈরি জন্য টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। কিন্তু তৃণমূল সরকার বাধা দিচ্ছে। তিনি বলেন, আগামী লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের সব আসন থেকেই বিজেপি প্রার্থীদের জয়ের প্রয়োজন রয়েছে। সেই কারণে বিজেপি প্রার্থীদেরও ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান।