সংক্ষিপ্ত

নিহতের মা জানিয়েছে, ৮ বছরের ছেলে। বারবার বিরক্ত করছিল। একাধিকবার বারণ করা হয়েছিল। কিন্তু ছেলে নাকি সেই কথা শোনেনি।

 

ছেলেকে খুনের (son murder) অভিযোগ মায়ের (Mother) বিরুদ্ধে। ৮ বছরের ছেলেকে শ্বাসরোধ করে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ মায়ের। মর্মান্তিক এই ঘটনা সোনারপুরের (sonerpur)। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পেশ করা হয়েছে বারুইপুর মহকুমা আদালতে। খুনের কারণ জানতে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে ও ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বারুইপুর পুলিশ (Baruipur Police) জেলার পুলিশ সুপার পলাশ চন্দ্র ঢালি। তবে কেন খুন করেছে তা নিজেই জানিয়েছে 'খুনি মা'।

পুলিশ সূত্রের খবর, নিহতের মা জানিয়েছে, ৮ বছরের ছেলে। বারবার বিরক্ত করছিল। একাধিকবার বারণ করা হয়েছিল। কিন্তু ছেলে নাকি সেই কথা শোনেনি। সেই কারণেই সে মেজাজ হয়েছিল। রেগে গিয়ে ওড়নার ফাঁস গলায় জড়িয়ে ফাঁস লাগিয়ে শ্বাসরোধ করে খুন করেছে। রাগের মাথায় আট বছরের ছেলেকে খুন করেছেন বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেন তিনি। রবিবার সোনারপুর গ্রামীণ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষায় নিয়ে আসা হয় তাঁকে। সেই সময় সংবাদ মাধ্যমের সামনেও খুনের কথা স্বীকার করে নেন তনুজা মণ্ডল নামে ওই মহিলা।

নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার খেয়াদহের মৌ লিহাটির বাসিন্দা প্রসেনজিৎ মন্ডল, স্ত্রীর নাম তনুজা মন্ডল। তাদের দুটি পুত্র সন্তান হয়। মাত্র ৬-৭ মাস বয়সে ছোট ছেলের মৃত্যু হয়। তখনও মায়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। এবার বড়ছেলের নাম দেবজিত মন্ডল (৮)। স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলে তৃতীয় শ্রেনিতে পড়ত। সকালে প্রসেনজিৎ ব্যবসার কাজে বেরিয়ে যায়। মাছের ব্যবসার সাথে যুক্ত সে। বাড়িতে ছেলেকে একাই ছিল তনুজা। ঠাকুমা সকালে ১০টা নাগাদ আসে। এসে নাতির খোঁজ শুরু করে। সেইসময় বাড়িতে ছিল না বাচ্ছাটির মাও। প্রতিবেশীদের কাছেও জিজ্ঞাসা করে। খোঁজ শুরু হলে খাটের মধ্যে কম্বল চাপা অবস্থায় উদ্ধার হয় নিথর ছেলের দেহ।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে নরেন্দ্রপুর থানার পুলিশ। অভিযুক্তকে সঙ্গে করে নিয়ে এলে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। এলাকার মহিলারা তার উপর হামলে পড়ে। লাঠিচার্জ করে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। স্থানীয়দের অভিযোগ তনুজা মণ্ডল বাড়িতেও মাঝেমধ্যে অশান্তি করত। প্রতিবেশীদের সঙ্গেও ঝামেলা করত। পাড়ার অনেকেই তার সঙ্গে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিল।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।