সংক্ষিপ্ত

হাসপাতাল সূত্রের খবর চিকিৎসকরা মনে করছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিধায়ক মুকুল রায়ের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে।

 

মুকুল রায়ের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তেমনই জানিয়েছে চিকিৎসকরা। বর্তমানে তাঁর অবস্থা স্থিতিশীল। তবে এখনও পর্যন্ত তাঁকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে। রাখা হয়েছে আইসিইউতে। নিজের বাড়িতে বাথরুমে পড়ে গিয়েছিলেন মুকুল রায়। সেই সময় মাথা আর পায়ে চোট পেয়েছিলেন। হাসপাতাল সূত্রের খবর চিকিৎসকরা নির্দিষ্ট সময় অন্তর স্ক্যান করে দেখছেন। অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ হচ্ছে কিনা।

হাসপাতাল সূত্রের খবর চিকিৎসকরা মনে করছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিধায়ক মুকুল রায়ের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। অবস্থা স্থিতিশীল। তাঁরা মনে করছেন, এইরকম অবস্থা থাকলে মুকুল রায়কে দ্রুত আইটিইউতে থেকে কেবিনে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে।

বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে মুকুল রায়। তাঁর চিকিৎসার জন্য তৈরি হয়েছে একটি বিশেষ মেডিক্যাল টিম। বুধবার মুকুল রায়ের মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচার হয়েছে। তারপরে তিনি সংকটজনক অবস্থায় ছিলেন। হাসপাতাল সূত্রের খবর রবিবার তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে।

মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। তবে ২০১৭ সালে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। বিজেপির টিকিটে তিনি প্রথম বিধায়ক হন। যদিও পরবর্তীকালে বিধানসভা ভোটে জিতে মুকুল রায় ২০২১ সালে আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসেন বলে দাবি করে। যদিও মুকুল রায় এই বিজেপির বিধায়ক পদ ছাড়েননি। বাংলায় তাঁকে চাণক্যের সঙ্গে তুলনা করা হয়। দলবদলের আগে পর্যন্ত মুকুল রায় মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। তাঁকে তৃণমূলের সেনাপতি বলা হত। তৃণমূলের অন্দরে বলা হত, দলের সংগঠনকে তিনি নিজের হাতের তালুর থেকেও ভাল চিনতেন। দলের অধিকাংশে নেতানেত্রীর সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে যোগাযোগ রাখতেন। দল বদলের বিজেপির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও তাঁর ঘনিষ্ঠতা ও সখ্যতা ছিল দেখার মত। অমিত শাহের বিশেষ কাছের মানুষ ছিলেন তিনি। যদিও বিজেপি মুকুল রায়ের হাতে সংগঠনের গুরুদায়িত্ব কখনই ছাড়েনি। তবে ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের সময় তিনি অনেকটাই দায়িত্ব পেয়েছিলেন। যাইহোক বিধায়ক হওয়ার আগেই মুকুল রায়ে সাংসদ হয়েছেন। তিনি রেলমন্ত্রীর দায়িত্বও পালেন করেছেন।