সংক্ষিপ্ত

সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে আজব যুক্তি খাড়া করেন রুবিয়া সুলতানা। তিনি বলেন, 'ব্যক্তিগত কারণে অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করেছিলাম। অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করলে টাকা ফেরত দেওয়া যায়।' এই যুক্তি শুনে রীতিমত চমকে গিয়েছেন সবাই।

তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি গাড়ি থেকে তেল চুরির অভিযোগ রয়েছে। সেই চুরিতে হাতে নাতে ধরা পড়েছেন তিনি। তারওপর আবার জোর গলায় কথা বলতে দেখা গেল মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের তৃণমূল সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানাকে। হাতে নাতে ধরা পড়ে তেল চুরির প্রায় ৩ লক্ষ টাকা জেলা পরিষদকে ফেরত দিয়েছেন তিনি। তার পর তাঁর দাবি, এটা কোনও দুর্নীতিই নয়।

এই নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে আজব যুক্তি খাড়া করেন রুবিয়া সুলতানা। তিনি বলেন, 'ব্যক্তিগত কারণে অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করেছিলাম। অতিরিক্ত তেল ব্যবহার করলে টাকা ফেরত দেওয়া যায়।' এই যুক্তি শুনে রীতিমত চমকে গিয়েছেন সবাই।

এর পর অভিযোগকারিনী শেহনাজ বেগমকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, 'ও দলে কোনঠাসা। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে প্রচারে থাকতে চাইছে। একটা মামুলি ব্যাপার নিয়ে শুধুশুধু হইচই করছে। এটা কোনও ব্যাপারই নয়। লাখ - লাখ কোটি - কোটি টাকার দুর্নীতি ধরতে পারলে বুঝতাম।'

কিছুদিন আগেই রুবিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে সরকারি গাড়ির ডিজেল চুরির অভিযোগ তোলেন তাঁরই দলের জেলা পরিষদের সদস্য শেহনাজ বেগম অভিযোগ করেন, নিজের গাড়ির জন্য ৩ হাজার ১৭৮ লিটার ডিজেল খরচ বেশি দেখিয়েছেন সভাধিপতি। যার দাম ২ লক্ষ ৯৮ হাজার টাকা। এই তেলে প্রায় ২৫ হাজার কিলোমিটার চলতে পারে তাঁর গাড়ি। হাতে নাতে ধরা পড়ে যাওয়ায় তেল চুরির টাকা জেলা পরিষদের তহবিলে ফেরত দেন সভাধিপতি।

জানা গিয়েছে, জেলা পরিষদের বাজেটে দেখা যায় ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ৬ হাজার লিটার ডিজেল খরচ করেছেন রুবিয়া সুলতানা। মার্চে জেলা পরিষদের হিসাবরক্ষকের কাছে সভাধিপতি স্বীকার করেন ওই সময় ব্যক্তিগত কাজে ২টি গাড়ি ব্যবহার করেছেন তিনি। যার জন্য অতিরিক্ত ৩ হাজার ১৭৮ লিটার তেল খরচ হয়েছে।

এর পর অভিযোগকারিনী শেহনাজ বেগমকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, 'ও দলে কোনঠাসা। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে প্রচারে থাকতে চাইছে। একটা মামুলি ব্যাপার নিয়ে শুধুশুধু হইচই করছে। এটা কোনও ব্যাপারই নয়। লাখ - লাখ কোটি - কোটি টাকার দুর্নীতি ধরতে পারলে বুঝতাম।'

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।