সংক্ষিপ্ত

দীপ্র ভট্টাচার্য, ঝাড়গ্রাম হাসপাতালের সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার। দীপ্র ভট্টাচার্য সিনিয়ন অ্যানাস্থেসিস্ট ছিলেন। ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন।

 

আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকের মৃত্যুর রহস্যের জট এখনও কাটাতে পারেনি তদন্তকারীরা। তারই মধ্যে রাজ্যে আরও এক চিকিৎসকের মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে রহস্য। বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম হাসপাতলের চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয় ঝাড়গ্রামেরই একটি হোটেলের ঘর থেকে। পুলিশ জানিয়েছে মৃতের নাম দীপ্র ভট্টাচার্য। তবে কী কারণে মৃত্যু তা এখনও স্পষ্ট নয়।

দীপ্র ভট্টাচার্য, ঝাড়গ্রাম হাসপাতালের সিনিয়র রেসিডেন্ট ডাক্তার। দীপ্র ভট্টাচার্য সিনিয়ন অ্যানাস্থেসিস্ট ছিলেন। ঝাড়গ্রাম হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। একটি হোটেলে থেকেই তিনি কাজ করতেন। যে হোটেলে থাকতেন, সেই হোটেল থেকেই উদ্ধার হয়েছে দেহ। তবে এদিনই তাঁর মৃত্যু বলে অনুমান পুলিশের। দীর্ঘ দিন ধরেই হাসপাতালের থ্রেট কালচারের বিরুদ্ধে সরব ছিলেন। তাই দীপ্র মৃত্যু নিয়ে রহস্য তাই তৈরি হয়েছে রহস্য।

পুলিশ সূত্রের খবর, দীপ্র বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ১৩ মিনিট নাগাদ হাসপাতালের অ্যানাস্থেসিস্ট চিকিৎসকদের গ্রুপে একটি হোয়াটসঅ্যাপ পোস্ট করেন। সেটি যথেষ্ট বড়। সেই পোস্টে লিখিছেন, বছর দেড়েক আগেও তিনি আরজি করে ছিলেন। আরজি করের চিকিৎসক-অধ্যাপকদের একাংশের বিরুদ্ধে থ্রেট কালচারে মদত দেওয়ার অভিযোগ তোলেন। চাকরি বাঁচাতে ওই চিকিৎসক-অধ্যাপকরা দুর্নীতিতেও মদত দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, এই হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ দেখার পরই দীপ্র সহকর্মীরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। কিন্তু তখন দীপ্রর মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। তাই সহকর্মীরা তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। দীপ্র কোথায় রয়েছে তা জানতে সহকর্মীরাও খোঁজ শুরু করেন। শেষপর্যন্ত হোটেলের ঘরের দরজা ভেঙে পুলিশ দীপ্র দেহ উদ্ধার করে। দীপ্র মৃত্যু নিয়ে আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের মধ্যে উত্তেজনা রয়েছে। অনেকের কথায় একদিকে যখন থ্রেট কালচার নিয়ে আন্দোলন চলছে তখন এক চিকিৎসকের এভাবে মৃত্যু অনেক প্রশ্ন তুলে দিয়ে গেল।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।