অনুব্রত মণ্ডলের খাসতালুক বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেস নেতার মৃত্যু ঘিরে রহস্য ক্রমশই বাড়ছে। মৃতের পরিবারের দাবি খুন করা হয়েছে। যদিও পুলিশ জানিয়েছে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত কঙ্কালতলা গ্রামের ঘটনা।
অনুব্রত মণ্ডলের খাসতালুক বীরভূমে তৃণমূল কংগ্রেস নেতার মৃত্যু ঘিরে রহস্য ক্রমশই বাড়ছে। মৃতের পরিবারের দাবি খুন করা হয়েছে। যদিও পুলিশ জানিয়েছে গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শান্তিনিকেতন থানার অন্তর্গত কঙ্কালতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের ধোল্টিকুড়ি গ্রামে রবিবার সকালে চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। প্রাক্তন তৃণমূল বুথ সভাপতি মদন লোহা (৫০) এর নিথর দেহ গ্রামের মাঝ মাঠ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সন্ধ্যে থেকে নিখোঁজ, আজ সকালে দেহ উদ্ধার
পরিবার সূত্রে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিলেন মদন লোহা। আজ সকালে তার দেহ উদ্ধার হতেই পুরো এলাকা স্তব্ধ হয়ে যায়। মৃতদেহের অবস্থা এবং ঘটনাস্থলের পরিস্থিতি দেখে পরিবারের লোকজন দাবি করেছেন, এটি খুনের ঘটনা। অন্য কোথাও খুন করে দেহ মাঠে ফেলে রেখে দিয়ে গেছে দুষ্কৃতীরা। পরিবারের অভিযোগ, মদন লোহাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। মৃতদেহের অবস্থান ও পায়ে লাগা আঘাতের চিহ্ন সন্দেহ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
ঘটনার খবর পেয়ে শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে দেখা হবে, এটি কি রাজনৈতিক শত্রুতা নাকি ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে সংঘটিত হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঘটনার পর থেকে পুরো গ্রামে আতঙ্ক ও ক্ষোভের ছায়া নেমে এসেছে। মানুষ ভয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না, কেউ কেউ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। স্থানীয়রা বলছেন, “এত বড়ো ঘটনা আমাদের গ্রামে আগে কখনো হয়নি। কেউ নিরাপদ নয়।”
শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ পুরো এলাকায় সতর্কতা জারি করেছে এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত শনাক্ত করা হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মদন লোহার মৃত্যু নিয়ে রাজনৈতিক মহলেও উত্তেজনা ছড়িয়েছে। স্থানীয় রাজনৈতিক কর্মীরা একে গুরুত্বপূর্ণ ও সংবেদনশীল ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। পুলিশ জানিয়েছে খুন না সাধারণ মৃত্যু নাকি আত্মহত্যা সবকিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের ইতিমধ্যেই জিজ্ঞাসাবাদ করার কাজ শুরু হয়েছে।


