সংক্ষিপ্ত
রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করার পর এই ব্যক্তি স্থানীয়দের সব কথা কোনও রকমে জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, 'এভাবে আমাকে না মারলেই পারত।'
ঠাকুর দেখে ফেরার পথে রণচণ্ডীর রূপ ধারন করল স্ত্রী। আর বাইকের পিছনে বসে আচমকাই ধারালো অস্ত্রের কোপে স্বামীর গলার নলি কেটে দিল। রক্তাক্ত অবস্থায় স্বামীকে রাস্তাতেই ফেলে দিয়ে চম্পট দিল স্ত্রী। পুজোর ষষ্ঠীর দিনে ভয়ঙ্কর এই ঘটনার সাক্ষী থাকল নদিয়ার তেহট্ট।
ষষ্ঠীর দিন স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে ঠাকুর দেখতে গিয়েছিলেন স্বামী। বাইক চালাচ্ছিলেন স্বামী। পিছনে সন্তান নিয়ে স্ত্রী সওয়ার। চলন্ত বাইকে আচমকাই স্ত্রী স্বামীর গলায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপ বসায়। টাল সামলাতে না পেরে বাইক বিয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে স্ত্রী। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তাতেই গড়াগড়ি খায় স্বামী। এই অবস্থায় সন্তানকে নিয়ে সেখান থেকে চম্পট দেয় স্ত্রী।
তেহট্ট থানার বেতাই সাধুবাজার পলাসী রাজ্য সড়কের পরিত্য়ক্ত হাসপাতালের সামনে এই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে। পথ চলতি মানুষজনই রক্তাক্ত অবস্থায় স্বামীকে উদ্ধার করে। প্রথমে স্থানীয়রা ভেবেছিল কোনও দুর্ঘটনা ঘটেছে। খবর দেওয়া হয়েছিল পুলিশের টহলদার গাড়িতে। তারপর তারাই তুলে প্রথমে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে। তারপর অবস্থার অবনতি হলে নিয়ে যাওয়া হয় তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শরী।
রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করার পর এই ব্যক্তি স্থানীয়দের সব কথা কোনও রকমে জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, 'এভাবে আমাকে না মারলেই পারত।' তিনি জানিয়েছেন, তাঁর স্ত্রী সন্ধ্যা তাঁরই বাইকের পিছনে বসে তাঁর গলায় ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপ মেরে খুন করার চেষ্টা করেছিল। তারপর অধমরা অবস্থায় রাস্তা ফেলে রেখে চলে যায়। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই এই কাণ্ড ঘটিয়েছে স্ত্রী। যদিও সন্তান সমেত কিছু দূর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে আহতের স্ত্রীকে। মহিলার কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।