সংক্ষিপ্ত
বিজেপির জয়ী দুই প্রার্থীর স্থান পেলেন নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভা। দুজনেই প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন।
নরেন্দ্র মোদীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে মিলে গেল বালুরঘাট আর বনগাঁ। দুই কেন্দ্রের বিজেপির জয়ী দুই প্রার্থীর স্থান পেলেন নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভা। দুজনেই প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন।
সুকান্ত মজুমদার-
কলেজের অধ্যাপরক থেকে সরাসরি রাজনীতির আঙিনায় পা রাখেন সুকান্ত মজুমদার। ২০১৯ সালে প্রথমবার সংসদে যান। তারপর দুর্দান্ত উত্থান। রাজ্য বিজেপির সভাপতি করা হয় তাঁকে। এবারও তাঁকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। জয় পেতে কষ্ট হলেও নিরাশ করেননি দিল্লির নেতাদের। রবিবার সকাল থেকেই জানতেন তিনি কেন্দ্রের মন্ত্রী হচ্ছেন। কারণ মোদীর চা-চক্র অনুষ্ঠানে তিনি আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। বিজেপি সূত্রে খবর ছিল চা-চক্রে ডাক পাওয়া সকলেই এদিন শপথ নেবেন।
শান্তনু ঠাকুর-
দ্বিতীয়বারের সাংসদ। এবারও জায়গা করে নিয়েছেন নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায়। মতুয়া মহাসংঘের প্রথম বিজেপি নেতা হিসেবে উত্থান হয়ে শান্তনু ঠাকুরের। যদিও ২০১৯ সালে প্রথমবার বিজেপি তাঁকে যখন বনগাঁ কেন্দ্রের প্রার্থী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তখন রাজি হননি। পরবর্তীকালে মতুয়া ভোটব্যাঙ্কের কথা মাথায় রেখে বিজেপি তাঁকে রাজি করায়। এবারও গোটা রাজ্যে বিজেপির ধস নামলে তিনি দিল্লিকে নিরাশ করেননি। তারই পুরষ্কার পেলেন শান্তনু ঠাকুর।
সুকান্ত মজুমদার রাজ্য বিজেপির সভাপতি। অন্যদিকে শান্তনু ঠাকুর গতবারেও মন্ত্রী ছিলেন। জাহাজ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। এবার তাঁকে কোন দায়িত্ব দেওয়া হয় সেটাই এখন দেখার। রাজ্যের মানুষের নজর রয়েছে সুকান্ত মজুমদারের মন্ত্রকের দিকেও। বিজেপির লক্ষ্য আগামী রাজ্য বিধানসভার ভোট। আর সেই কারণে দুই বঙ্গের মধ্যে ভারসাম্য বাজায় রাখার ওপরই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদী। বিজেপি সূত্র্রের খবর, উত্তরের ভোট ব্যাঙ্ক ধরে রাখতেই সুকান্তর ওপর ভরসা করেছে গেরুয়া শিবির। আর দক্ষিণবঙ্গে ভোটব্যাঙ্কে মতুয়া সম্প্রদায় গুরুত্বপূর্ণ। শান্তনু ঠাকুর আবার মতুয়া মহাসংঘের সভাপতিও। তাঁর পরিবারের সদস্যদের একাংশ তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। আর সেই কারণে এবারও শান্তনু ঠাকুর মোদীর তুরুপের তাস।