সংক্ষিপ্ত

সোমবার সকালেই সন্দেশখালি পৌঁছে গিয়েছিলেন রেখা শর্মা। তাঁর সঙ্গে ছিল জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দলের সদস্য, যারা আগেই সন্দেশখালি সফর করেছেন।

 

লোকসভা নির্বাচনের আগে হটস্পট সন্দেশখালি। জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দলের পর এবার সন্দেশখালি পরিদর্শন করলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ার পার্সেন রেখা শর্মা। তিনি দিনভর সন্দেশখালি ঘুরে সোমবার জানিয়ে দেন, 'রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া উপায় নেই।' কিন্তু কেন এই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের প্রয়োজন রয়েছে তারও কারণ জানিয়েছেন রেখা শর্মা।

রেখ শর্মার বক্তব্য-

সোমবার সকালেই সন্দেশখালি পৌঁছে গিয়েছিলেন রেখা শর্মা। তাঁর সঙ্গে ছিল জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দলের সদস্য, যারা আগেই সন্দেশখালি সফর করেছেন। দিনভর স্থানীয় মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেছেন রেখা শর্মা। তারপরই তিনি রাষ্ট্রপশি শাসনের পক্ষে সুপারিশ করেন। তিনি বলেন, 'দিনের পর দিন মহিলাদের ওপর নির্যাতন হচ্ছে। ১৮টি অভিযোগ পেয়েছি। দুই জন ধর্ষণের অভিযোগ জানিয়েছে। পুলিশের ওপর মানুষের আস্থা নেই। আমাকে ধরে গ্রামের মহিলারা কাঁদছেন। রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া কোনও উপায় নেই।'

সন্দেশখালির মহিলাদের সঙ্গে কথা বলার পর টোটো চেপে সন্দেশখালি থানায় যান রেখা শর্মা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় চার মহিলা। থানায় পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গেও কথা বলেন তিনি।

এর আগেই সন্দেশখালি পরিদর্শন করেছিল জাতীয় মহিলা কমিশনের একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। তারা কথা বলেছিল স্থানীয় মহিলাদের সঙ্গে। কিন্তু সেই সময় প্রশাসন তাদের সহযোগিতা করেনি বলেও অভিযোগ ছিল। তাই প্রতিনিধি দলের সদস্যদের সফরের পরই রেখা শর্মা জানিয়েছিলেন তিনি সন্দেশখালি যাবেন আর স্থানীয় নির্যাতিত মহিলাদের সঙ্গে কথা বলবেন। সেই মতই এদিন সন্দেশখালি এসেছিলেন তিনি।

জাতীয় মহিলা কমিশনের একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল গত ১২ ফেব্রুয়ারি সন্দেশখালি গিয়েছিল। সেখানে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের হাতে অত্যাচারিত মহিলাদের সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছে। মহিলা তাদের ওপর হওয়া হিংসা ও ভয় দেখানের কথা বলেছে। তিনি আরও বলেছেন, প্রতিনিধি দলটি স্থানীয় কর্তৃপক্ষ কী কী পদক্ষেপ করেছে তারও মূল্যায়ন করেছে। জাতীয় মহিলা কমিশন বলেছেন, দলের প্রতিনিধিরা বাংলার সরকারের হয়ে অবহেলা ও জটিলতার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছে। দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এলাকায় রয়েছে আতঙ্ক। দিনের পর দিন অত্যাচারিত হয়ে অনেকেই রীতিমত হতাশ হয়েছে। প্রতিনিধি দলের সদস্য সদস্য ডেলিনা খংডুপ বলেছেন, স্থানীয় পুলিশের মনোভাবে তারা অত্যন্ত হতাশ হয়েছে। এখানে এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে নির্যাতিতা মহিলারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। প্রতিনিধি দলের সদস্যদের অভিযোগ তাদের সঙ্গে পূর্ণ সহযোগিতা করতে রাজি হয়নি পুলিশ। তাদের নিরাপত্তাও দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।