সংক্ষিপ্ত

ছাত্র সমাজের ডাকা নবান্ন অভিযানে পুলিশি বাধা সত্ত্বেও আন্দোলনকারীদের একটি দল নবান্নের খুব কাছে পৌঁছে যায়। চ্যাটার্জিহাট থেকে শুরু হওয়া মিছিলটি নবান্নের প্রায় দরজায় পৌঁছে গেলে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ বাধে। 

নবান্ন অভিযান ঘিরে তুলকালাম তিলোত্তমা। আরজি করের নির্যাতিতার বিচার ও মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের পদত্যাগের দাবিতে ছাত্র সমাজের ডাকা নবান্ন অভিযান ঘিরে আন্দোলনকারী ও পুলিশের সংঘর্ষ। সকাল থেকেই অভিযান ব্যর্থ করতে তৎপর ছিল রাজ্য ও কলকাতা পুলিশ।। কিন্তু তারই মধ্যে পুলিশের রক্তচক্ষু এড়িয়ে আন্দোলনকারীদের একটি দল পৌঁছে যায় নবান্ন, রাজ্য প্রশাসনের খাস তালুকে। কিন্তু তারপরে কী হল?

বেলা তখন আড়াইটে। সেই সময়ই থাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযানে সামিল হওয়া একটি মিছিল পৌঁছে যায় নবান্নের প্রায় দরজায়। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর চ্যাটার্জিহাট থ থেকে একটি মিছিল নবান্নের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। মিছিলে ছিল প্রায় ৫০০ জন। যাদের অধিকাংশই মহিলা। সেই মিছিলই নবান্ন থেকে মাত্র ২ মিনিট দূরত্বে পৌঁছে যায়। মিছিল আটকাতে তৎপর হয় পুলিশ। আগে থেকে জলকামান আর টিয়ার গ্যাস নিয়ে তৈরি ছিল প্রশাসন। তাই মিছিল আটতে তেমন বেগ পেতে হয়নি। মাত্র তিন মিনিটের মধ্যেই মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।

চ্যাটার্জিহাট থেকে নবান্নের উত্তর গেট পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ছোট ছোট ব্যারিকেড করেছিল পুলিশ। কিন্তু সেগুলি ভেঙে দিয়ে এগিয়ে গিয়েছিল আন্দোলনকারীরা। উত্তরগেটের কাছে একটি বড় ব্যারিকেড করা হয়েছিল সেটি এখনও অক্ষত। এদিয়ে যে জায়গায় পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুক্ত শুরু হয়, সেখান তেকে হাঁটাপথে নবান্নর দূরত্ব মাত্র ২-৩ মিনিট- ১০০মিটার। এর আগেও একাধিকবার নবান্ন অভিযান করেছিল বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। কিন্তু কোনও রাজনৈতিক দলই নবান্নের এত কাছে পৌঁছাতে পারেনি। এদিন আন্দোলনকারীরা জাতীয় পতাকা নিয়ে পৌঁছে দিয়েছিলেন রাজ্য প্রশাসনের খাস তালুকের এক্কেবারে দোরগোড়ায়। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছে, পুলিশ লাঠি চার্জ ও কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে তাদের রুখে দিয়েছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।