সংক্ষিপ্ত
আর জি কর কাণ্ডের তদন্তে উঠে এসেছে পুলিশের এএসআই অনুপ দত্তের নাম। ইতিমধ্যেই সিবিআই-এর জেরার মুখেও পড়তে হয়েছে তাঁকে। এবার কার্যত অনুপের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারাই।
আর জি কর কাণ্ডের তদন্তে উঠে এসেছে পুলিশের এএসআই অনুপ দত্তের নাম। ইতিমধ্যেই সিবিআই-এর জেরার মুখেও পড়তে হয়েছে তাঁকে। এবার কার্যত অনুপের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারাই।
জানা যাচ্ছে, ধৃত সঞ্জয় রায় নাকি একাধিকবার গেছিল অনুপের বালুরঘাটের বাড়িতে। দুজনে মিলে মদ্যপান করে অশান্তিও নাকি করেছিল। অনুপ নিজেও একেবারেই সুবিধের লোক নয় বলেই দাবি করেছেন তারা।
আর জি কর কাণ্ডে রহস্যভেদে একেবারে মরিয়া সিবিআই। তদন্তভার হাতে পাওয়ার পর থেকেই একাধিকজনকে তারা তলব করে জেরা করেছে। বুধবার, সিজিও কমপ্লেক্সে যাওয়ার সময় সংবাদমাধ্যমের সামনে পড়ে যান এএসআই অনুপ দত্ত।
সংবাদমাধ্যমকে দেখে রীতিমতো দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেন তিনি। বিষয়টি জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফুঁসে ওঠেন বালুরঘাটে বসবাসকারী অনুপের প্রতিবেশীরা। তাদের অভিযোগ, এএসআই অনুপ দত্ত একেবারেই সুবিধার লোক ছিলেন না। তাঁর সঙ্গে একাধিকবার আর জি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায় বালুরঘাটে গেছিল বলেও জানান তারা।
মদ খেয়ে নাকি অশান্তিও করেছেন দুজন মিলে। তবে প্রতিবেশীরা নিন্দে করলেও অনুপের আত্মীয়রা দাবি করেছেন, অন্যায় কাজে অনুপের কোনও যোগ থাকতেই পারে না। তাঁকে রীতিমতো ফাঁসানো হচ্ছে।
কিন্তু তাহলে দৌড়বেন কেন? প্রসঙ্গত, আর জি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়কে টানা জেরা করতেই উঠে আসে এই কলকাতা পুলিশের এএসআই অনুপ দত্তর নাম। আর ঠিক তারপরই তাঁকে তলব করে সিবিআই। বুধবার, তিনি হাজিরা দিতে সিজিও কমপ্লেক্সে যান। সেখানেই সংবাদমাধ্যমের সামনে পড়ে যান তিনি। একাধিক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে।
কিন্তু সেই প্রশ্ন থেকে বাঁচতে রীতিমতো দৌঁড়ে ভিতরে ঢুকে যান তিনি। আর তারপরেই মুখ খুলেছেন তাঁর এলাকার প্রতিবেশীরা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।