সংক্ষিপ্ত
নতুন করে করোনা নির্দেশিকা জারি করল পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দফতর। জনবহুল জায়গায় মাস্ক ব্যবহার করার ওপর গুরুত্ব আরোপিত।
সোমবারই নবান্নের বৈঠক থেকে ভারতের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের হার নিয়ে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে সতর্ক করেছিলেন তিনি। তার পরেই মঙ্গলবার বঙ্গবাসীর জন্য নয়া কোভিড গাইডলাইন জারি করল স্বাস্থ্য বিভাগ।
পশ্চিমবঙ্গ স্বাস্থ্য দফতরের এই নতুন করোনা নির্দেশিকায় বিশেষভাবে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে শিশু, বৃদ্ধ এবং গর্ভবতী মহিলাদের ওপর। তার পাশাপাশি বুস্টার ডোজ নিয়েও মানুষকে সচেতন করা হয়েছে। বঙ্গে এখনও পর্যন্ত ভারতের অন্যান্য রাজ্যের মতো সংকটময় পরিস্থিতি তৈরি না হয়ে থাকলেও বিপদ আসার আগেই আমজনতাকে নিরাপত্তার বেড়িতে আবিষ্ট করে রাখতে চাইছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এক নজরে দেখে নিন স্বাস্থ্য দফতরের জারি করা গাইডলাইনে কী কী রয়েছে।
যথা সম্ভব ভিড় এড়িয়ে চলুন। বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ এবং গর্ভবতী মহিলা এবং কো-মর্বিডিটিসম্পন্ন ব্যক্তিরা জনবহুল স্থানে যতটা সম্ভব না গেলেই ভালো।
যদি একান্তই কোনও জনবহুল জায়গায় যেতে হয়, বা ট্রেনে-বাসে যাতায়াত করতে হয়, তাহলে অবশ্যই মাস্ক পরুন।
স্যানিটাইজার এবং সাবান কোভিড ভাইরাসকে অনেকটাই প্রতিহত করতে পারে। তাই, মাঝে মাঝেই জল এবং সাবান দিয়ে নিজের হাত ধুন অথবা স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। শিশুদেরও এই অভ্যাসে অভ্যস্ত করে তুলুন।
হাঁচি বা কাশী হওয়ার সময় নিজের নাক আর মুখ কোনও রুমাল বা টিস্যু পেপার দিয়ে ঢেকে রাখুন। তা না পারলে নিজের কনুই দিয়ে নাক-মুখ ঢেকে রাখুন। যেখানে যেখানে থুতু ফেলবেন না।
খুব বয়স্ক মানুষরা, কো-মর্বিডিটিসম্পন্ন ব্যক্তিরা অথবা গর্ভবতী মহিলারা এমন মানুষের সান্নিধ্য এড়িয়ে চলুন, যিনি বা যাঁরা সর্দি-কাশি বা জ্বরে ভুগছেন।
এখনও পর্যন্ত যাঁরা বুস্টার ডোজ নেননি, তাঁরা নিয়ে নিন।
জ্বর, গলা ব্যথা, সর্দি-কাশি হলে করোনা পরীক্ষা করাতে দ্বিধাবোধ করবেন না।
আপনার করোনা পজিটিভ হয়ে থাকলে ১ সপ্তাহ আইসোলেশনে থাকুন।
https://www.wbhealth.gov.in/ ওয়েবসাইটে গিয়ে নভেলকরোনা ভাইরাস সংক্রান্ত বিশেষ গাইডলাইন জেনে নিন।
শ্বাসকষ্ট হলে বা অক্সিজেন স্যাচুরেশন কম হয়ে গেলে তাড়াতাড়ি হাসপাতালে যান অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
শিশু, বৃদ্ধ বা কো-মর্বিডিটিসম্পন্ন মানুষদের করোনা হয়ে থাকলে কোনওরকম দেরি না করেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করাতে হবে।
অ্যান্টিবায়োটিক বা সর্দি-কাশির সিরাপ কোনওভাবেই ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাওয়া চলবে না।
কোনও অসুবিধা হলেই ফোন করুন রাজ্যের করোনা সংক্রান্ত হেল্পলাইন ১৪৪১৬ এই নম্বরে।
আরও পড়ুন-
এপ্রিলের শেষদিকে কোন শহরে ঊর্ধ্বমুখী জ্বালানির দাম? দেখে নিন বুধবারের পেট্রোল-দর
ভারতে আবার কমে গেল সোনা-রুপোর দাম, দেখে নিন বুধবারের লেটেস্ট আপডেট
আবার বিজেপিতে ফিরতে পারেন মুকুল রায়, সংবাদমাধ্যমের সামনে ইঙ্গিত কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়কের