সংক্ষিপ্ত

ডিয়ে নিয়ে বহুদিন ধরেই আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। তার মধ্যেই জারি হল নয়া নির্দেশিকা। সরকারি কর্মীদের নিয়ে ফের কড়াকড়ি রাজ্যের।

ডিয়ে নিয়ে বহুদিন ধরেই আন্দোলন করছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। তবে তাতেও কোনও সুরাহা হয়নি। কেন্দ্রীয় হারে ডিয়ে দেওয়া সম্ভব নয় বলেই সাফ জানিয়েছিলেন মুখ্যোমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখনও অথই জলে পড়ে রয়েছে ডিয়ে মামলা। এখনও ক্ষুব্ধ সরাকরি কর্মীরা। তার মধ্যই জারি হল নয়া নির্দেশিকা। সরকারি কর্মীদের নিয়ে ফের কড়াকড়ি রাজ্যের।

দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। কয়েক সপ্তাহ পরেই শুরু ভোট। ইতিমধ্যেই ভোটের ডিউটিতে নিযুক্ত করা হয়েছে সরকারি কর্মীদের। বেশ কিছু জায়গায়প্রশিক্ষণও শুরু হয়েছে গিয়েছে। ভোটের ডিউটি না করতে চেয়ে ইতিমধ্যেই আবেদন জমা করেছেন বহু কর্মী। আর এবার এই পরিস্থিতি সামাল দিতেই বীরভূম জেলা প্রশাসন একটি নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে।

নির্দেশিকা অনুযায়ী, যদি কোনও সরকারি কর্মচারী শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ভোটের ডিউটি বা করতে চান, তাহলে সেই কর্মচারী নিজের অফিসের কাজেও যোগ দিতে পারবেন না। অর্থাথ অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ভোটের ডিউটি এড়ালে অফিসেও ছুটি নিতে হবে।

অর্থাৎ সরকারি কর্মীকে নিজের জমে থাকা ছুটি খরচ করতে হবে। এক্ষেত্রে বিপদে পড়বেন সেই সমস্ত কর্মীরা যাদের কাছে আর পর্যাপ্ত ছুটি মজুত নেই। পর্যাপ্ত ছুটি না থাকলে কর্মীদের বেতন পর্যন্ত কাটা যেতে পারে।

এই প্রসঙ্গে বীরভূমের জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, "ভোটের ডিউটি এড়াতে বহু আবেদন জমা পড়েছে। এক্ষেত্রে মেডিক্যাল বোর্ড ‘আনফিট’ বললে তবেই সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মীকে ছাড় দেওয়া হবে। তবে ‘আনফিট’ ওই সরকারি কর্মী ভোটগ্রহণের দিন পর্যন্ত নিয়মিত নিজের কাজে যেতে পারবেন না। শুধু তাই নয়, ভোট মেটার পর ওই ‘আনফিট’ ঘোষিত কর্মীকে ‘ফিট’ সার্টিফিকেট নিলে তবেই আগের মতো কাজে যোগ দিতে পারবেন। যা সার্ভিস বুকে লেখা হবে। প্রশাসনের এই নয়া ঘোষণায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ বীরভূমের সরকারি কর্মীরা।"