জঙ্গলমহলের সঙ্গে বোলপুর শান্তিনিকেতনের একদম সরাসরি যোগাযোগ। ঘুরপথে হাওড়া হয়ে যাওয়ার প্রয়োজন নেই, শুরু হচ্ছে বাস পরিষেবা।
পৌষ পার্বণের আগে শান্তিনিকেতন থেকে জঙ্গলমহল পর্যন্ত সরাসরি বাসের নতুন পরিষেবা চালু হয়েছে, যা পর্যটন ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে বড় খবর।কারণ এর ফলে পর্যটকদের এখন আর ঘুরপথে যেতে হবে না, সরাসরি জঙ্গলমহলের আকর্ষণীয় স্থান যেমন ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার মতো জেলাগুলিতে যাওয়া যাবে, যা পর্যটকদের সময় ও শ্রম বাঁচাবে এবং এই উৎসবের মরসুমে জঙ্গলমহল ও শান্তিনিকেতন ভ্রমণের আকর্ষণ বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বিস্তারিত আলোচনা:
* সুখবর ও প্রেক্ষাপট: পৌষ সংক্রান্তির উৎসবের ঠিক আগে এই পরিষেবা চালু হওয়ায়, পৌষ মেলা ও জঙ্গলমহলের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে ইচ্ছুক পর্যটকদের জন্য এটি একটি বড় সুবিধা।
* সরাসরি যোগাযোগ: এতদিন শান্তিনিকেতন থেকে জঙ্গলমহল যেতে হলে একাধিক বাস বা ট্রেন বদলাতে হত, কিন্তু নতুন এই বাস পরিষেবা সরাসরি সংযোগ স্থাপন করেছে, যা পর্যটকদের যাতায়াত অনেক সহজ করে দেবে।
কি কি সুবিধা:
* সময় সাশ্রয়: কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছানো যাবে।
* সুবিধাজনক: একাধিকবার বাস বদলের ঝামেলা থেকে মুক্তি।
* পর্যটন বৃদ্ধি: জঙ্গলমহলের পর্যটন শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
* সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন: শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্র-সংস্কৃতি ও জঙ্গলমহলের লোকসংস্কৃতির মিলনক্ষেত্র তৈরি হবে।
* সম্ভাব্য রুট: এই বাস সম্ভবত বোলপুর (শান্তিনিকেতন) থেকে শুরু করে সিউড়ি, দুবরাজপুর, সাঁইথিয়া হয়ে জঙ্গলমহলের মূল কেন্দ্র যেমন ঝাড়গ্রাম, বেলপাহাড়ি বা পুরুলিয়া পর্যন্ত যেতে পারে, যা রুট অনুযায়ী পরিবর্তিত হতে পারে।
* গুরুত্ব: পৌষ পার্বণ মূলত ফসল কাটার উৎসব, আর এই সময়েই বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে মেলা ও উৎসবের আয়োজন করা হয়। এই নতুন বাস পরিষেবা সেই উৎসবে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সংক্ষেপে বলা যায় যে এই বাস পরিষেবা পর্যটকদের জন্য দারুণ এক উপহার, যা পৌষ পার্বণের মরসুমে ভ্রমণকে আরও আনন্দময় করে তুলবে।


