বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের এজলাসে শোভন-রত্নার বিবাহবিচ্ছেদ মামলার শুনানিতে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শোভনের পক্ষে সওয়াল করেন। রত্না মনে করেন শোভনের রাজনীতিতে ফেরা উচিত, তবে তিনি তৃণমূলেই ফিরবেন কিনা, সেই প্রশ্ন রয়ে গেছে।
বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের এজলাসে বুধবার শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে রত্না চট্টোপাধ্যায়ের বিবাহবিচ্ছেদ মামলা হাই কোর্টে চলছে। এই মামলার শুনানিতে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় শোভনের হয়ে সওয়াল করলেন। তৃণমূলের প্রথম সারির অনেকের মতে, কল্যাণ যখন শোভনের বন্দ্যোপাধ্যায় যখন হয়ে দাঁড়িয়েছেন তখন ‘বিনা অনুমতি’তে করেননি।
মামলা চলাকালীন একাধিকবার প্রাক্তন মেয়র শোভন একাধিক অভিযোগ করেছেন, রত্না চট্টোপাধ্যায় ইচ্ছাকৃতভাবে শুনানিতে বিলম্ব করাচ্ছেন। তৃণমূলের সঙ্গে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বিরোধ যে ঘুঁচেছে তা জলের মতো পরিষ্কার। এর আগেও শোভনে চট্টোপাধ্যায়ের দলে ফেরার জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিলেন তাঁর স্ত্রী রত্না বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও তাঁরা এখন আর একসঙ্গে থাকেন না। খাতায় কলমে স্বামী-স্ত্রী হলেও তাঁদের বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছে। কিন্তু দাম্পত্য আইনি জটে আটকে থাকলেও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের দলে ফেরার প্রসঙ্গে যথেষ্ট নেতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছেন তাঁর স্ত্রী রত্না। বর্তমানে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক। আবর কাউন্সিলরও। যদিও দিন কয়েক আগেও শোভনের দলে ফেরার প্রসঙ্গে কিছুটা হলেও কটাক্ষের সুর ছিল তাঁর গলায়।
রত্না চট্টোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমে আরও বলেছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়া অন্য কোনও দলে গেলে তাঁর সেখানে মানিয়ে নিতে কষ্ট হবে। শোভন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম থেকেই ছিলেন। ওনার জন্য রাজনীতি ছাড়া আর অন্য কিছু তৈরি হয়নি। রত্না আরও জানিয়েছেন, তিনি শোভনের সঙ্গে তিনি ২২ বছর ঘর সংসার করেছেন, তাই তিনি শোভনকে খুব ভাল করে চেনেন। সেই সূত্র ধরেই রত্না করেন, রাজনীতি ছাড়া অন্য কিছু করতে পারেন না। রাজনীতি ওনার একমাত্র জায়গা। রত্না আরও বলেন, শোভনবাবু যদি মনে করেন রাজনীতি করবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রাজনীতি করবেন- তাহলে ওঁর সেটাই ঠিক করে করা উচিৎ। রত্না আরও বলেন, শোভনবাবু যদি মনে করেন তিনি ফিরে আসবেন তাহলে তার ফিরে আসা উচিৎ। তবে রত্না জানিয়েছেন, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের উচিৎ মন দিয়ে রাজনীতি করা।
