সংক্ষিপ্ত
তিনি বলেন রাজ্যের এই মন্ত্রী নাকি ভোটের আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসতে চেয়েছিলেন। তিনি আসলে ভোটবাক্সে কার্যত তাঁর এলাকায় ধ্বস নামত তৃণমূলের। সেই মন্ত্রীর নামও ফাঁস করেছেন শুভেন্দু।
ভোটের আগে নেতা মন্ত্রীদের দলবদল নতুন কিছু নয়। যেভাবে দলবদলের হিড়িক ওঠে, তাতে কোন নেতা কোন দলের তা মনে রাখাই কঠিন হয়ে যায়। এবার রাজ্যের এক মন্ত্রী অর্থাৎ তৃণমূলের এক হেভিওয়েট নেতার নামে এই অভিযোগ করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা ও বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিনে তিনি বলেন রাজ্যের এই মন্ত্রী নাকি ভোটের আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসতে চেয়েছিলেন। তিনি আসলে ভোটবাক্সে কার্যত তাঁর এলাকায় ধ্বস নামত তৃণমূলের। সেই মন্ত্রীর নামও ফাঁস করেছেন শুভেন্দু। তাঁর আরও দাবি শুভেন্দুর হাত ধরেই বিজেপিতে ঢুকতে চেয়েছিলেন ওই মন্ত্রী।
শুভেন্দু বলেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ নাকি যোগ দিতে চেয়েছিলেন বিজেপিতে। তবে ২০২৪ লোকসভা ভোটের আগে নয়। ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের সময় তিনি যোগ দিতে চেয়েছিলেন পদ্মশিবিরে। উল্লেখ্য, আগামী ১৯ এপ্রিল উত্তরবঙ্গের তিনটি আসনে ভোট রয়েছে। তার আগে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহকে নিয়ে এরকমই এক বিরাট দাবি করলেন শুভেন্দু। সোমবার নির্বাচনী প্রচারে দিনহাটায় হাজির হয়েছিলেন বিজেপি নেতা। এই বিধানসভা কেন্দ্রের তিনবারের বিধায়ক উদয়ন। তাঁর ‘গড়ে’ দাঁড়িয়েই এদিন তাঁকে নিয়ে এক বিস্ফোরক ‘খবর’ জনসমক্ষে ফাঁস করেন শুভেন্দু।
এদিন দিনহাটার সভায় দাঁড়িয়ে বিজেপি বিধায়ক বলেন, ‘উদয়ন গুহ আপনি কোথায়? আপনি বলেছিলেন, বিরোধী দলনেতা দিনহাটায় এলে নাকি বেঁধে রাখবেন। আপনি দড়ি আনুন, আমি নিরাপত্তা ছাড়াই যাচ্ছি’। এরপরেই শুভেন্দু দাবি করেন, ২০২১ বিধানসভা ভোটের আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে চেয়েছিলেন উদয়ন।
তবে শুভেন্দুর এই দাবি সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন উদয়ন নিজে। উদয়ন বলেন, ‘সে তো আমিও দিন ক্ষণ স্থান ধরে অনেক কথা বলে দিতে পারি। তবে কথা বললেই তো হল, প্রমাণ দরকার। আর যদি সত্যিই এমনটা হয়ে থাকতো, তাহলে একুশের বিধানসভা ভোটের বিজেপি প্রার্থীর হয়ে প্রচারে এসে একথা বলেননি কেন?’ এরপর আরও এক ধাপ এগিয়ে উদয়ন বলেন, যদি বিজেপিতে যাওয়ার হতো তাহলে অন্য কোনও নেতার সঙ্গে কথা বলতাম। শুভেন্দুর হাত ধরার কী প্রয়োজন ছিল? প্রশ্ন করেন তিনি।
তবে উদয়নের সাফাই না মেনে শুভেন্দু জানিয়েছেন একুশের ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য আমার হাত ধরেছিল। একুশ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের ঘটনা। বিদায়ী সাংসদ সুনীল মণ্ডলের সল্টলেকের সরকারি আবাসনে এই ঘটনা ঘটেছিল বলে দাবি করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।