সংক্ষিপ্ত

রাজ্যের বুকেই যেন ভয়ানক ফাঁদ!

সেইসঙ্গে, দুটি ল্যাপটপ এবং দুটি মোবাইলও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে খবর। ওই যুবকের আরও দুই সঙ্গীকে শুক্রবারই গ্রেফতার করা হয়েছে। সাইবার প্রতারণা এবং ডিজিটাল গ্রেফতারির একটি অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশের জালে ধরা পড়েছেন এই তিনজন।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত নভেম্বর মাসে চারু মার্কেট থানা এলাকায় এক বয়স্ক মহিলা ডিজিটাল গ্রেফতারির ফাঁদে পড়েন। তাঁর কাছ থেকে মোট ৬৬ লক্ষ টাকা আদায় করে নিয়েছিলেন প্রতারকরা। এতদিনে সেই ঘটনায় তিন মূল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হল। ধৃতেরা হলেন ২৭ বছর বয়সী প্রতাপ রায়, ৩১ বছরের উৎপল শিকদার এবং ৩৫ বছরের কুমারেশ হালদার। এই তিনজনই কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা।

পুলিশ জানিয়েছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে প্রথমে প্রতাপকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর কাছ থেকে ক্রিপটোকারেন্সিতে প্রায় সাড়ে ৮ লক্ষ টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর প্রতাপের থেকেই উৎপলের খোঁজ জানা যায়। শুক্রবার তাঁর বাড়িতে হানা দেন তদন্তকারীরা। মোট ৭৪ লক্ষ নগদ টাকা তারা বাজেয়াপ্ত করেছেন।

তারপর তৃতীয় অভিযুক্তের খোঁজে শুরু হয় তল্লাশি। তারপর কৃষ্ণনগর থেকেই কুমারেশকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানতে পেরেছে যে, ক্রিপটোকারেন্সি ব্যবহার করে আর্থিক তছরুপের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন এই কুমারেশ। কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা হলেও রাজারহাটের চিনার পার্কে ফ্ল্যাটে থাকতেন তিনি।

শুক্রবার কৃষ্ণনগরে গেছিলেন একটি বিয়েবাড়ির নিমন্ত্রণ উপলক্ষ্যে। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সাইবার প্রতারণা এবং ডিজিটাল গ্রেফতারির ঘটনা দিনদিন যেন বেড়েই চলেছে। এই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করছেন সাইবার বিশেষজ্ঞরা। প্রায় সব ধরনের এবং সব বয়সের মানুষই ডিজিটাল গ্রেফতারির শিকার হচ্ছেন প্রায় রোজদিন।

এই ধরনের স্ক্যাম এড়াতে এবার আরও সচেতন হওয়া প্রয়োজন বলে মত তাদের।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।