সংক্ষিপ্ত
এই পরিস্থিতিতে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে অন্য বার্তা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হওয়ার একদিনের মাথায় রাজ্য জুড়ে উঠে আসছে অশান্তির ঘটনা। মনোনয়ন জমা দেওয়ায় বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে কংগ্রেস কর্মীকে গুলি করে খুনের ঘটনায় রীতিমত উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। একাধিক জায়গায় গায়ের জোড়ে বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এবার এই পরিস্থিতিতে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে অন্য বার্তা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে রাজ্যে অশান্তির ঘটনা ফিরিয়ে আনছে ২০১৮ সালের স্মৃতি। একদিকে মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ। অন্যদিকে মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে কংগ্রেস কর্মী খুন। সব মিলিয়ে ঘরে বাইরে চাপে তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার নবজোয়ার যাত্রা কর্মসূচির মঞ্চে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দলের কর্মী সমর্থকদের সচেতন থাকার বার্তা দেন। এদিন তিনি বলেন,'কোনও রকমের ঝামেলায় জড়াবেন না। মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে কোনও রকমের প্ররোচনায় পা দেবেন না।' এদিন কল্যাণীর ক্যাম্প থেকে উত্তর ২৪ পরগনার উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন,'প্রশাসনকে বলা হয়েছে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে।'
অন্যদিকে একইদিনে পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাসকদলের ভূমিকা ঘিরে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তাঁর দাবি মনোনয়ন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে শাসকদলের থেকে এগিয়ে বিরোধীরা। সুজনের কথায়, 'আমাদের কর্মীরা অনেক জায়গাতেই মনোনয়ন জমা দিয়েছে এবং তার থেকেও বেশি জায়গায় মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েও দিতে পারেনি, কারণ নির্বাচন কমিশন প্রস্তুত নয়। ছয় দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের গাফিলতিতে একদিন নষ্ট। এখন প্রশ্ন এই নষ্ট হবে জেনেই কি তৃণমূল বাহিনী আসেনি?' শুধু তাই নয় একাধিক জায়গায় মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। সুজন চক্রবর্তী জানিয়েছেন,'গতকাল মুর্শিদাবাদের রানিনগরে যখন আমাদের কর্মীরা মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন তখন তৃণমূলের নেতা বাইরের থেকে বাহিনী নিয়ে এসে আক্রমণ করেন। ঘটনায় হতচকিত হয়ে যায় কর্মীরা। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে রুখে দাঁড়িয়েছিল স্থানীয় মানুষেরা। যারা আক্রমণ করতে এসেছিল তাদের কার্যত তাড়া খেতে পালাতে হয়েছে, তৃণমূলকে তাড়া খেয়ে পালাতে হয়েছে।' সুজনের সংযোজন,'রানিনগর দেখে যেন তৃণমূল বোঝে যে মানুষ চায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে, সেটা যদি বাইরের থেকে বাহিনী এনে নষ্ট করার চেষ্টা করতে চায় তাহলে যেন রানিনগরের চেহারাটা মনে রাখে।'
আরও পড়ুন -
নাথুরাম গডসের সঙ্গে দাউদ ইব্রাহিমকে একই আসনে বসালেন জেডিইউ নেতা, টার্গেট বিজেপি
ওসামা বিন লাদেনের সঙ্গে রাহুল গান্ধীর তুলনা, দাড়ি নিয়ে কটাক্ষ বিজেপি নেতার