সংক্ষিপ্ত

বৃহস্পতিবার নির্বাচনের আবহে আইন শৃঙ্খলা নিয়ে একাধিক নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

আর মাত্র একদিন বাদেই রাজ্যজুড়ে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন অনুষ্টিত হতে চলেছে। নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণার পর থেকেই অশান্তির আবহ বাংলায়। এই পরিস্থিতিতে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট পরিচালনার জন্য আগেই ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়নের কথা ঘোষণা করেছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এবার ভোটের পরে রাজ্যে আধা সেনার মোতায়ন থাকার কথা ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট। মানুষ যাতে সম্পূর্ণ নিরাপদভাবে এবং নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে তাই ভোটের পরেও আরও ১০ দিন অর্থাৎ ৮ জুলাই থেকে ১৮ জুলাই পর্যন্ত রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন রাখার নির্দেশ দিল আদালত। এছাড়া বৃহস্পতিবার নির্বাচনের আবহে আইন শৃঙ্খলা নিয়ে একাধিক নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে যাতে আর কোনও হিংসার ঘটনা না ঘটে সেবিষয় বিশেষ জোর দিচ্ছে আদালত। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত একাধিক নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। নির্বাচনের আবহে রাজ্যে কোথায় কত কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন করা হবে সে সিদ্ধান্ত বিএসএফ-এর আইজি নেবেন বলে জানায় আদালত। রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য পুলিশের কর্তারা তাঁকে সাহায্য করবেন। আজই রাজ্যে পৌঁছবে ৮০ শতাংশ কেন্দ্রীয় বাহিনী। অন্যদিকে পঞ্চায়েত ভোট সংক্রান্ত শুভেন্দু অধিকারীর করা মামলায় আজ শুনানি ছিল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন এই মামলার শুনানিতে আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয় ভোট পরবর্তী আরও ১০ দিন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়ন থাকবে রাজ্যে। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর মিছিল করবে বিজয়ী দলেরা, সেক্ষেত্রেও অশান্তির আশঙ্কা থাকছে। তাই ভোটের ফল ঘোষণার পর অন্তত দু'সপ্তাহ রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে।

প্রসঙ্গত, বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে বাতিল হল নির্বাচনে দফা বৃদ্ধির আবেদন। সম্প্রতি পঞ্চায়েত নির্বাচনে দফা বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বুধবার এই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, এখনও পর্যন্ত পর্যাপ্ত বাহিনী পাচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন, অতএব এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে দফা বৃদ্ধির আবেদন গুরুত্বহীন। ফলে এক দফায় নির্বাচনের সিদ্ধান্তই বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। শুধু তাই নয় শৃঙ্খলা নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাই এই মুহূর্তে নতুন করে দায়ের হওয়া এই মামলায় আলাদা করে কোনও নির্দেশ দেওয়ার প্রয়োজন নেই বলেই জানিয়ে দিলেন প্রধান বিচারপতি।