সংক্ষিপ্ত
নির্বাচন কমিশনের কাজ ব্যবস্থাপনা দেখা। সেই মত অভিযোগ পেয়েই জানানো হয়েছে এসপি এবং জেলাশাসককে। নিজের তাগিদে পুলিশ তদন্ত করবে।'
পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে সন্ত্রাসের আবহ বাংলাজুড়ে। ছয় জেলায় অশান্তির ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে কমপক্ষে ১২ জনের। যদিও নির্বাচন কমিশনারের গলায় শোনা গেল অন্য সুর। রাজ্যে মৃতের সংখ্যা মাত্র তিনজন বলেই জানালেন তিনি। শনিবার সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহ জানিয়েছেন 'ভোটের দিন রাজ্যে মৃত্য্য হয়েছে তিন জনের।' পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে হিংসার ঘটনার দায়ে ঠেললেন রাজ্য পুলিশের উপরই। তাঁর কথায়,'রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা দেখা রাজ্য পুলিশের বিষয়। নির্বাচন কমিশনের কাজ ব্যবস্থাপনা দেখা। সেই মত অভিযোগ পেয়েই জানানো হয়েছে এসপি এবং জেলাশাসককে। নিজের তাগিদে পুলিশ তদন্ত করবে।'
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা বলেছেন, অপরাধের ঘটনা ঘটলে মামলা দায়ের করা হয়। তারপর তদন্ত ও গ্রেফতারির ঘটনা ঘটে। তিনি আরও বলেছেন, পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলেও আশা করেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, পঞ্চায়েত ভোট কেমন হয়েছে তা এখনও পুরোপুরিভাবে বলার সময় আসেনি। তিনি আরও বলেন, ঘন ঘন অভিযোগ আসছে। এখন নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি তবে প্রায় ৬০০র মত অভিযোগ জমা পড়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। অভিযোগ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে কমিশন।
তবে শান্তিপুর্ণ পঞ্চায়েত নির্বাচনের ছবিটা উধাও হয়ে গেছে। এপর্যন্ত উত্তর থেকে দক্ষিণবঙ্গ সর্বত্রই আশান্তির ছবি প্রকট হচ্ছে। এই অবস্থায় এখনও পর্যন্ত ১১ জনেরও বেশি মানুষের প্রাণ গেছে ভোটে হিংসার কারণে। সব মিলিয়ে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সাত জন কর্মী খুন গয়েছ। লালগোলায় ও আউশগ্রামে দুই সিপিএম কর্মী আর নওদায় এক কংগ্রেস কর্মী খুন হয়েছে।