সংক্ষিপ্ত
পঞ্চায়েত নির্বাচনে দফা বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাড়ছে না দফা। বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে বাতিল হল নির্বাচনে দফা বৃদ্ধির আবেদন। সম্প্রতি পঞ্চায়েত নির্বাচনে দফা বাড়ানোর জন্য আবেদন করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। বুধবার এই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি সাফ জানিয়ে দেন, এখনও পর্যন্ত পর্যাপ্ত বাহিনী পাচ্ছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন, অতএব এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে দফা বৃদ্ধির আবেদন গুরুত্বহীন। ফলে এক দফায় নির্বাচনের সিদ্ধান্তই বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্ট। শুধু তাই নয় শৃঙ্খলা নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাই এই মুহূর্তে নতুন করে দায়ের হওয়া এই মামলায় আলাদা করে কোনও নির্দেশ দেওয়ার প্রয়োজন নেই বলেই জানিয়ে দিলেন প্রধান বিচারপতি।
উল্লেখ্য পঞ্চায়েত নির্বাচনের দফা বৃদ্ধি নিয়ে ইতিমধ্যেই একাধিক আবেদন দায়ের করা হয়েছিল। আবেদঃন জানিয়েছিলেন ভাঙরের আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকিও। তবে সেই মামলাও খারিজ হয়ে গিয়েছিল। এরপরে নতুন করে মামলা দায়ের করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তাঁর মামলায় মূলত দুটি বক্তব্য ছিল। এরমধ্যে একটি হল, পর্যাপ্ত বাহিনী পাওয়া সম্ভব কিনা সেবিষয়টা নিশ্চিত নয় এবং দ্বিতীয়ত, তিনি বলেছিলেন বিগত ২৫ দিনে প্রায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্য জুড়ে হিংসার ঘটনা। ফলে এই বিষয়টিতে প্রধান বিচারপতিঢ় হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন তিনি এবং স্বচ্ছ ভোট পরিচালনাঢ় জন্য যাতে দফা বাড়িয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। এই দুটি আবেদনের প্রথমটিতে বিচারপতি সাফ জানিয়েছেন যে এখন বাহিনী বাড়ছে অতএব এক্ষুনি দফা বাড়ানোর প্রয়োজন নেই। পঞ্চায়েত ভোটের ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে রাজ্যে। দ্বিতীয় আবেদনটিতে বিচাপতি জানিয়েছেন মূল পঞ্চায়েত মামলায় আইন শৃঙ্খলা নিয়ে একাধিক নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তাই এখন অধীর চৌধুরীর দুটি মামলাই আপাতত ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে আদালত।
প্রসঙ্গত কয়কদিন আগেই, স্বচ্ছ নির্বাচনের দাবিতে এবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল বঙ্গ বিজেপি। অতিরিক্ত ব্যালট পেপার-সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে এই প্রথম সরাসরি রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানালো ভারতীয় জনতা পার্টি। শনিবার লিখিত চিঠি দিয়ে এই বিষয় স্পষ্টভাবে জানানো হল। পদ্ম শিবিরের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়,পঞ্চায়েত নির্বাচনে অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছাপানো হচ্ছে। এমনকী বিডিও-এর তত্ত্ববধানেই এই কাজ হচ্ছে বলে দাবি করছে গেরুয়া দল। শুধু তাই নয় পঞ্চায়েত ভোটে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।
বিজেপির পক্ষ থেকে দেওয়া লিখিত অভিযোগে জানানো হয়েছে,'স্বচ্ছ এবং সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নির্বাচনের স্বার্থে অবিলম্বে মাস্টার ফিল্ম পুড়িয়ে ফেলা হোক। যেহেতু এর আগের বিভিন্ন উদাহরণ থেকে স্পষ্টই বোঝা যায় পুলিশ শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বাহিনী হিসেবেই কাজ করে, ফলত মাস্টার ফিল্ম কোনও অবস্থাতেই তাঁদের হেফাজতে রাখা যাবে না।' পাশাপাশি নির্বাচনে সম্পূর্ণ সিসিটিভি কভারেজেরও দাবি করে বিজেপি।