সংক্ষিপ্ত

পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাসের বিষয় কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপে তদন্তের আর্জি জানালেন তিনি। এই মর্মে শনিবারই অমিত শাহকে চিঠি দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি।

 

পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রক্তের বন্যা বইল বাংলাজুড়ে। ভোটের দিনই ছয় জেলায় মৃত কমপক্ষে ১২ জন। ঘটনা ঘিরে ইতিমধ্যেই চাপানুতোর শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিত। চলছে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের পর্ব। এরইমধ্যে বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাসের বিষয় কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপে তদন্তের আর্জি জানালেন তিনি। এই মর্মে শনিবারই অমিত শাহকে চিঠি দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি।

শনিবার সুকান্ত মজুমদার অমিত শাহকে দেওয়া চিঠিতে জানিয়েছেন, ৮ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন রাজ্যের তাণ্ডব চালিয়েছে শাসক দলের দুষ্কৃতীরা এবং গোটা ঘটনায় পুলিশকে নিরব দর্শকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে বলেও অভিযোগ জানান তিনি। এদিন ভয়াবহ সন্ত্রাসের সাক্ষী থেকেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, উত্তর ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ, পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি বাঁকুড়া, হুগলি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা, পশ্চিম বর্ধমান জেলাগুলি। এদিনে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১৫ জনের। এছাড়া রাজ্যজুড়ে বুথ দখল, ছাপ্পা ভোট এমনকী বিজেপি কর্মীদের হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ করেন সুকান্ত মজুমদার। এমনকী বেশিরভাগ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকার অভিযোগও করেছেন তিনি।

অন্যদিকে ছয় জেলায় অশান্তির ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে কমপক্ষে ১২ জনের। যদিও নির্বাচন কমিশনারের গলায় শোনা গেল অন্য সুর। রাজ্যে মৃতের সংখ্যা মাত্র তিনজন বলেই জানালেন তিনি। শনিবার সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহ জানিয়েছেন 'ভোটের দিন রাজ্যে মৃত্য্য হয়েছে তিন জনের।' পাশাপাশি রাজ্যজুড়ে হিংসার ঘটনার দায়ে ঠেললেন রাজ্য পুলিশের উপরই। তাঁর কথায়,'রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা দেখা রাজ্য পুলিশের বিষয়। নির্বাচন কমিশনের কাজ ব্যবস্থাপনা দেখা। সেই মত অভিযোগ পেয়েই জানানো হয়েছে এসপি এবং জেলাশাসককে। নিজের তাগিদে পুলিশ তদন্ত করবে।'

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা বলেছেন, অপরাধের ঘটনা ঘটলে মামলা দায়ের করা হয়। তারপর তদন্ত ও গ্রেফতারির ঘটনা ঘটে। তিনি আরও বলেছেন, পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে বলেও আশা করেছেন তিনি। তিনি আরও বলেন, পঞ্চায়েত ভোট কেমন হয়েছে তা এখনও পুরোপুরিভাবে বলার সময় আসেনি। তিনি আরও বলেন, ঘন ঘন অভিযোগ আসছে। এখন নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান দেওয়া সম্ভব নয়। তিনি তবে প্রায় ৬০০র মত অভিযোগ জমা পড়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। অভিযোগ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে কমিশন।