সংক্ষিপ্ত
শুভেন্দু অধিকারী তথা বিজেপির দাবি যে সকল বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না বা থাকলেও ত্রুটিপূর্ণ ছিল সেই সব বুথে আবার নির্বাচন করতে হবে।
৬৯৬ নয় ৬০০০ বুথে পুননির্বাচনের দাবি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। ইতিমধ্যেই রাজ্যজুড়ে অশান্তি, মারধার, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, খুন, ছাপ্পার পরিস্থিতিতে একাধিক কেন্দ্রে নতুন করে নির্বাচন ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সোমবারই রাজ্যের ৬৯৬ বুথে নতুন করে অনুষ্টিত হচ্ছে নির্বাচন। তবে শুভেন্দু অধিকারী তথা বিজেপির দাবি যে সকল বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না বা থাকলেও ত্রুটিপূর্ণ ছিল সেই সব বুথে আবার নির্বাচন করতে হবে। শুধু তাই নয় এছাড়া, সেই সমস্ত পোলিং বুথ যেখানে বিজেপির এজেন্টরা ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ার শুরুতে উপস্থিত ছিল, যা সিসিটিভি ফুটেজ দ্বারা নিশ্চিত করা যেতে পারে, কিন্তু ভোট শেষ হওয়ার আগে অর্থাৎ যখন ব্যালট বাক্সগুলি সিল করা হচ্ছিল তখন তাদের বাইরে ফেলে দেওয়া হয়েছিল সেই সব বুথে পুনর্নিবাচনের দাবি করলেন তাঁরা।
এই মর্মে ইতিমধ্যে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার টুইটার পোস্টের মাধ্যমে গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন শুভেন্দু। সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু লিখেছেন,'আমাদের দাবিটি ২০২৩ সালের WPA (P) ২৮৭-এ মাননীয় কলকাতা হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের সাথে সম্পূর্ণ সঙ্গতিপূর্ণ ছিল; শুভেন্দু অধিকারী এবং অন্য বনাম পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং অন্যান্যরা ২০২৩ সালের WPA (P) ২৮৬ এবং ২০২৩ সালের WPA (P) ২৫০ সহ; যা স্পষ্টভাবে বুথের বাধ্যতামূলক সিসিটিভি পর্যবেক্ষণ এবং ডেটা সংরক্ষণের রূপরেখা দিয়েছে৷' তিনি আরও জানিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিকভাবে ৬০০০টিরও বেশি বুথের বিশদ সরবরাহ করেছিল যেখানে হয় সিসিটিভি ক্যামেরা ইনস্টল করা হয়নি বা ত্রুটিপূর্ণ ছিল বা সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা বন্দী মিথ্যা ভোটদানের স্পষ্ট প্রমাণ থাকবে। এ ধরনের সব বুথে পুনঃভোটের দাবি জানিয়ে বিরোধী দল।
রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ৬৯৬টি বুথে পুননির্বাচনকে সম্পূর্ণ প্রতারণা এবং মাননীয় কলকাতা হাইকোর্টের আদেশের ইচ্ছাকৃত অবমাননা বলে উল্লেখ করেছেন বিরোধী দলনেতা। আগামীকাল বিজেপির আইনজীবীর পক্ষ থেকে এই প্রসঙ্গে প্রাসঙ্গিক নথি এবং প্রমাণ জমা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।