সংক্ষিপ্ত

দিল্লি থেকে ফিরেই রাজ্যপাল গেলেন ভাঙড়ে। সেখান থেকে তাঁর বাসন্তী আর ক্যানিং যাওয়ার কথা রয়েছে। রাজ্যপাল হিংসা নিয়ে কড়া বার্তা দিয়েছে।

 

পঞ্চায়েত ভোটের গণনার দিনেও রাজবভনে থাকলেন না রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এদিনও অ্যাকশন মুডে রাজ্যপাল। তিনি দিল্লি থেকে ফিরে হিংসা পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে ভাঙড়ে যান তিনি। মঙ্গলবার রাজ্যপাল প্রথম যান ঘটকপুকুর বাজারে। সেখানে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। সেখান থেকে রাজ্যপাল যান বিজয়গঞ্জ বাজারে। সূত্রের খবর রাজ্যপালের ক্যানিং আর বাসন্তী যাওয়ারও কথা রয়েছে।

মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠেছিল ভাঙড়। মনোনয়নের দিন মুড়িমুড়কির মত বোমা পড়েছিল। গুলি চালান হয়েছিল বলেও অভিযোগ উঠেছিল। মনোনয়ন দাখিলের কয়েক দিন পরেই রাজ্যপাল সন্ত্রাস বিধ্বস্ত ভাড়ে গিয়েছিলেন। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট নেন তিনি। শুধু ভাঙড় নয়, ক্যানিং বাসন্তী-সহ আরও একাধিক এলাকায় পরিদর্শন করেছিলেন রাজ্যপাল। ভোটের দিন সকাল থেকেও রাজ্যপাল হিংসা কবলিত উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বেশ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শন করেন।

এদিনই রাজ্যপাল দিল্লি থেকে ফিরেছেন। রাজ্যের রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে চ়ড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, 'কন্ট্রোল রুমে বসে যারা রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে রাজ্যের হিংসার তদারকি করছে, গুন্ডাদের গাইড করছে তাদের বিরুদ্ধে সর্বাত্মক পদক্ষেপ নেওযা হবে। অলআউট অ্যাকশন নেওয়া হবে।' রাজ্যপাল বলেন প্রশাসন কড়া হাতে হিংসা মোকাবিলা করবে। তিনি আরও বলেন 'আজ যারা সন্ত্রাসের জন্ম দিচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে। তাদের অভিশাপ দেওয়া হচ্ছে।' পাশাপাশি তিনি বলেন, আগামী প্রজন্মের জন্য বাংলাকে নিরাপদ জায়গায় পরিণত করার চেষ্টা করা হবে। বাংলায় ক্রমবর্ধমান হিংসার বিরুদ্ধে নিরলস লড়াই হবে। গুন্ডা আর দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ শক্তিশালী ব্যবস্থা নেবে। মঙ্গলবার সকালে কলকাতা বিমান বন্দরে নেমেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সেখানেই তিনি রাজ্যের রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। রাজ্যপাল বলেছেন, যারা রাজ্যে হিংসার পরিবেশ তৈরি করছে তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। গতকালই দিল্লিতে রাজ্যপাল অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করে। পঞ্চায়েত ভোটের পরের দিনই রাজ্যপাল দিল্লি রণনা দিয়েছিলেন। সূত্রের খবর, রাজ্যের হিংসা নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে রিপোর্ট দেওয়ার উদ্দেশ্যই তাঁর তড়িঘড়ি দিল্লি সফর। তবে অমিত শাহের সঙ্গে সোমবার সন্ধ্যায়ে দীর্ঘ বৈঠকে কী কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছিল তা নিয়ে সরাসরি মুখ খুলোননি রাজ্যপাল। তিনি বলেছিলেন, 'অন্ধকার সময়টা ভোরের ঠিক আগে। সুড়ঙ্গের শেষে আলো থাকবে। আজ একটাই বার্তা পেলাম যে, শীত এলেও বসন্ত কিন্তু পিছিয়ে যেতে পারে না। সামনের দিনগুলিতে ভাল কিছু ঘটবে।'