সংক্ষিপ্ত
চোপড়ার আটটি গ্রাম পঞ্চায়েত জয় তৃণমূলের। বিরোধী শূন্য চোপড়া। মনোনয়ন দাখিল করতে না দেওয়ার অভিযোগ বিরোধীদের। পাল্টা তোপ শাসকদলের।
মনোনয়নের শেষ দিনে রক্ত ঝরলেও শেষ রক্ষা হল না। চোপড়া পঞ্চায়েতের অধিকাংশ আসনেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভ করল তৃণমূল কংগ্রেস। ৮ জুলাই পঞ্চায়েত নির্বাচনের ভোট গ্রহণ। ১১ জুলাই ফল প্রকাশ। কিন্ত মনোনয়ন দাখিলের পরের দিনই স্পষ্ট হয়ে গেল কার্যত বিরোধী শূন্য চোপড়়া পঞ্চায়েত। চোপড়ার ৮টি পঞ্চায়েতের ২১৭টি আসনের মধ্যে ২১৪টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীরা। তিনটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তিন নির্দল প্রার্থী।
চোপড়ার বাম ও কংগ্রেস নেতা কর্মীদের দাবি তাদের মনোনয়ন দাখল করতে দেওয়া হয়নি। সেই কারণে বিনা বাধায় জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সিপিএমএর তাদের আরও অভিযোগ মনোনয়নের প্রথম দিন থেকেই বিরোধীদের ওপর শাসক দল চাপ দিচ্ছিল। তা উপেক্ষা করে মনোনয়ন দাখল করতে গিয়েছিল তারা। কিন্তু বৃহস্পতিবার তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডাবাহিনী তাদের ওপর চড়াও হয়। তাদের সিপিএম কর্মীর মৃত্যু হয় বলেও অভিযোগ। স্থানীয় এক সিপিএম কর্মী জানিয়েছেন চোপড়ায় পুলিশের মদতে সন্ত্রাস চালাচ্ছে শাসক দল। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তাদের দাবি চোপড়ায় কোনও বিরোধী রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের কারণে সেখানে বিরোধীদের কোনও অস্বিত্ত্ব নেই। বিরোধীদের লোক নেই তাই বিরোধীরা মনোনয়ন দাখিল করতে পারেনি। অন্যদিকে কংগ্রেসের অভিযোগ প্রশাসন নির্লজ্জ। তৃণমূল জানে সেখানে কী হয়েছে গত ৯ ডুলাই থেকেই চোপড়ায় তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী দাপিয়ে বেড়িয়েছে। সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে। তা উপেক্ষা করে বৃহস্পতিবার মনোনয়ন দাখিল করতে গিয়েছিল তারা। কিন্তু তাতেও মিছিলে গুলি চালান হয়। প্রশাসন ছিল নীরব দর্শক। বিজেপির অভিযোগ চোপড়ায় বল প্রয়োগ করে বিরোধীদের দমিয়ে রাখা হয়েছে। বিরোধীদের বহু কর্মী আহত হয়েছে।
চোপড়ায় গতকাল বাম ও কংগ্রেস কর্মীরা একজোট হয়ে মনোনয়ন দাখিল করতে আসে। সেই মিছিল তৃণমূল কংগ্রেসের আশ্রিত গুন্ডাবাহিনী গুলি চালায় বলে অভিযোগ। এক জনের মৃত্যু হয়। আহতের সংখ্যা ১০। যদিও তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়াল বলেন, 'চার হাজার লোকের মিছিল কখনও মনোনয়ন দাখিল করতে আসতে পারে না। সিপিএমএর অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল। ' তবে মিছিলে তৃণমূল কংগ্রেস হামলা চালায়নি বলেও জানিয়েছেন তিনি।
চোপড়ার ঘটনা নিয়ে বৃহস্পতিবারই আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন দুই আইনজীবী। আইনজীবী সুদীপ্ত দাশগুপ্ত বলেন, সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হোক। পরিস্থিতি খুবই খারাপ। আইনজীবী শামিম আহমেদ বলেন, প্রতি মূহুর্ত আমরা অতঙ্কিত হয়ে উঠব এমন সব ঘটনা ঘটছে। আদালতকে তিনি চোপড়ার ভিডিও দেখানোর আর্জি জানিয়েছেন।