সংক্ষিপ্ত
শাসকদল রাজ্যের অভ্যন্তরে ঘটা নারী নিগ্রোহের ঘটনা দেখতে পাননা বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। পাশাপাশি মালদা, কোচবিহার, পাঁচলা-সহ একাধিক রাজ্যের অভ্যন্তরীন বিষয় সংসদে তোলার কথাও বলেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
'বিরোধীরা কোচবিহার দেখতে পায়না, মালদা দেখতে পায় না', সংসদের বাইরে পশ্চিমবঙ্গে সরকারকে কটাক্ষ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। সোমবার পশ্চিমবঙ্গ সহ বিহার এবং রাজস্থানের মতো রাজ্যগুলিতে মহিলাদের উপর নির্যাতনের ঘটনার প্রতিব্বাদে লোকসভায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি সাংসদরা। এইদিন সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মালদা-সহ রাজ্যের একাধিক ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারকে একহাত নিলেন সুকান্ত মজুমদার। শাসকদল রাজ্যের অভ্যন্তরে ঘটা নারী নিগ্রোহের ঘটনা দেখতে পাননা বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। পাশাপাশি মালদা, কোচবিহার, পাঁচলা-সহ একাধিক রাজ্যের অভ্যন্তরীন বিষয় সংসদে তোলার কথাও বলেন বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি।
সোমবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন,'গোটা বাংলাজুড়ে মহিলাদের উপর একের পর এক নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। তার প্রতিবাদেই আমরা আজ গান্ধী মূর্তির পাদদেশে জড়ো হয়েছি। তার কারণ আমাদের বিরোধীরা মণিপুর দেখতে পান কিন্তু চোদ্দতলা থেকে মালদা দেখতে পাননা।' কোচবিহারে নাবালিকা ধর্ষনের ঘটনার প্রসঙ্গে টেনে তিনি বলেন,'মুখ্যমন্ত্রী কোচবিহারের মিশন হাসপাতালে গিয়ে দেখে আসুন একটি নাবালিকা মেয়ে, ১৪ বছর ২ মাস বয়স, ধর্ষিতা হয়ে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। চারজন দুষ্কৃতি লাগাতার তাকে ধর্ষন করেছে। মেয়েটি এখন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করছে। কিন্তু সেই কোচবিহার বিরোধীদের চোখে পড়ে না, তাঁদের মণিপুর চোখে পড়ে। এর বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলন চালাচ্ছি বাংলার মেয়েদের রক্ষা করতে হবে এই অত্যাচারি শাসকের হাত থেকে।'
সোমবার বিধানসভার বাদল অধিবেশনের শুরুর দিনই মণিপুর ইস্যুতে উত্তাল হয় ওঠে সংসদ। লোকসভায় 'ইন্ডিয়া ফর মণিপুর' ও 'ইন্ডিয়া ডিমান্ড পিএম স্টেটমেন্ট অন মণিপুর' প্ল্যাকার্ড নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিরোধী জোটের সদস্যরা। অন্যদিকে বিরোধীদের ঘোষিত অবস্থান সত্ত্বেও গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি সাংসদরা। এই নিয়ে নতুন করে বচসা শুরু হয় দু'পক্ষের মধ্যে। অন্যদিকে একসঙ্গে ধরনায় যোগ দিলেন ইন্ডিয়া জোটের ৩০০ সাংসদ। সংসদের বাইরে থেকে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,'মণিপুরে আমরা যে দৃশ্যের সাক্ষী থেকেছি, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) সংসদে আলোচনা চান না। জনগণকে বিভ্রান্ত করে মণিপুরের ঘটনা থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছে। ডবল ইঞ্জিন সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ।' অন্যদিকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেং,'আমরা বিরোধীদের অনুরোধ করছি সংসদে সুষ্ঠ কার্যাবলী ও আলোচনায় অংশ নিন। আপনারা আলোচনা থেকে পালাচ্ছেন কেন? মানুষ বিরোধীদের অবস্থান বুঝতে পারছে না।'