সংক্ষিপ্ত

job scam case: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে রাজসাক্ষী হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই করুণাময় ভট্টাচার্য। আদালতের নির্দেশে তিনি গোপনে জবানবন্দি দেন।

 

job scam case: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজসাক্ষী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই করুণাময় ভট্টাচার্য। সোমবার দিন তাঁর মাম আদালতে সাক্ষী দেন। তিনি জানিয়ে দেন , তিনি কিছুই জানতেন না। ভাগ্নের কথাতেই তিনি সবকিছু করেছেন। ভাগ্নেকে বিশ্বাস করেই তিনি যাবতীয় সইসাবুদ করেছেন। অন্যদিকে এদিনই কুন্তল ঘোষকে নিশানা করেন তাপস মণ্ডল।

কিছু দিন আগেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে রাজসাক্ষী হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই করুণাময় ভট্টাচার্য। আদালতের নির্দেশে তিনি গোপনে জবানবন্দি দেন। পাশাপাশি শর্ত হিসেহে অভিযুক্তদের তালিকা থেকে তাঁর নাম সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এবার করুণাময় ভট্টাচার্যের মামাও নিয়োগ দুর্নীতি থেকে সব দায় ঝেড়ে ফেললেন। তিনি বলেন 'আমি ভাগ্নেকে বিশ্বাস করেছি। সে যেখানে সই করতে বলেছে সেখানেই করে দিয়েছি।'

কল্যাণকে একাধিক বার জেরা করে ইডি জানতে পারে, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লোকজনকে নগদে টাকা দিতেন পার্থ। সেই টাকাই আবার ফিরে আসত তাঁর স্ত্রীর নামে তৈরি ট্রাস্টে। এ ভাবে বাবলি চ্যাটার্জি মেমোরিয়াল ট্রাস্ট দুর্নীতির অন্যতম আঁতুড়ঘর হয়ে উঠেছিল। প্রাথমিক ভাবে বাবলি চ্যাটার্জি মেমোরিয়াল ট্রাস্ট তৈরি করা হয়েছিল পাটুলি এলাকায় একটি পশুচিকিৎসালয় তৈরির উদ্দেশ্যে। কল্যাণময় ওই ট্রাস্টের অন্যতম ট্রাস্টি ছিলেন। তদন্তকারীদের তিনি জানিয়েছিলেন, এক বার ওই ট্রাস্টের জন্য ১ কোটি ১৭ লক্ষ ৭৫ হাজার ৯১০ টাকা। কল্যাণময়কে একাধিকবার জেরা করে ইডি। বিদেশ থেকে আসার পরই তাঁকে দেশে থেকে যেতেও বলা হয়। জেরায় বেআইনিভাবে টাকা তোলার কথা স্বীকার করেন কল্যাণ। কীভাবে টাকা তোলা হত তার ফাঁস করেন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কীভাবে আর্থিক তছরুপ হয়েছিল তার স্বপক্ষে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গুটি সাজাতে ইডি ব্যবহার করতে পারে কল্যাণের বয়ানকেই।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।