সংক্ষিপ্ত
আজব কাণ্ড ঘটছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে। চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই হাসপাতাল থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছেন বহু রোগী।
আজব কাণ্ড ঘটছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে। চিকিৎসাধীন অবস্থাতেই হাসপাতাল থেকে উধাও হয়ে যাচ্ছেন বহু রোগী।
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে প্রতিদিন খাতায়কলমে বাড়ছে পলাতকের সংখ্যা। হাসপাতালের তথ্য বলছে, গত সাত দিনে নিখোঁজ হয়ে গেছেন মোট ১২১ জন রোগী। তার মধ্যে শুধু সোমবারই ২০ জন রোগী কার্যত গায়েব হয়ে গেছেন হাসপাতালের মধ্যে থেকে। যাদের মধ্যে বেশিরভাগই চিকিৎসাধীন ছিলেন পুরুষ বিভাগে। কিন্তু এর কারণ কী?
এমনিতেই এর আগে পরিষেবা নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। আর এবার সামনে আসতে শুরু করেছে নিরাপত্তা ব্যবস্থার গাফিলতি। আর এই রোগী নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনা একপ্রকার স্বীকারও করে নিয়েছেন হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত ফেসিলিটি ম্যানেজার দিলীপকুমার পলমল।
তিনি বলেছেন, ইতিমধ্যেই একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাঁর কথায়, “আশা করছি, আগামী এক মাসের মধ্যে এই সমস্যার সমাধান হবে।” এদিকে এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর তরজা শুরু হয়ে গেছে জেলাজুড়ে। তৃণমূল বলছে, প্রশাসন নজর রাখছে। ওদিকে বিরোধীরা বলছে, তৃণমূল জমানায় শুধু জেলা নয়, রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাই পুরো ভেঙে পড়েছে।
এই নিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার তৃণমূল জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা জানান, “কেন রোগীরা হটাৎ করে চলে যাচ্ছেন, সেটা প্রশাসনের দেখা উচিৎ।” অপরদিকে বিজেপির জেলা মুখপাত্র অরূপ দাস দাবি করেছেন, “মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে আসলে কোনও চিকিৎসাই হয় না। তাই, রোগীরা চলে যাচ্ছেন।”
হাসপাতালের তরফ থেকে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে যে, রোগীরা ছুটি না নিয়ে যে যার মতো চলে যাচ্ছেন। ফলে, পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে বাধ্য হয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সেখানে নিখোঁজ হিসেবে দেখানো হচ্ছে রোগীদের।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।