সংক্ষিপ্ত
সন্দেশখালির মহিলাদের ওপর হওয়া যৌন হয়রানির অভিযোগকেই হাতিয়ার করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আসরে নেমেছে বিরোধীরা। তার প্রথম সারিতে রয়েছে বিজেপি।
লোকসভা নির্বাচন ২০২৪ -এর আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পশ্চিমবঙ্গ সফর করতে পারেন। তিনি যেতে পারেন সন্দেশখালিতে। কথা বলতে পারেন সেখানে যেসব মহিলারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন। সম্ভবত মোদীর বাংলা সফর করতে পারেন আগামী ৬ মার্চ, বুধবার। বিজেপি সূত্রের তেমনই খবর পাওয়া যাচ্ছে।
সন্দেশখালি ইস্যুতে উত্তাল গোটা রাজ্য। ৬ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। কিন্তু স্থানীয়দের বিক্ষোভ ও অশান্তির জেরে কোনও রকমে প্রাণ হাতে নিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসে ইডির আধিকারকরা। তারপর থেকেই বেপাত্তা শেখ শাহজাহান। এই ঘটনার কিছু দিন পরেই স্থানীয় মহিলারা শাহজাহান, উত্তম সর্দার , শিবু হাজরার মত সন্দেশখালির প্রথম সারির তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে পথে নামেন স্থানীয় মহিলারা। পুলিশ পুরোপুরি নিষ্ক্রীয় বলেও অভিযোগ ছিল। তাদের অভিযোগ ছিল এলাকায় দিনের পর দিন তৃণমূল নেতাদের যৌন হয়রানির শিকার তারা। রাতের বেলা বাড়ি থেকে জোর করে তুলেও নিয়ে যাওয়া হত সুন্দরী মহিলাদের। ধর্ষণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। এই ঘটনার পর থেকেই সন্দেশখালি ইস্যুতে আরও উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি।
সন্দেশখালির মহিলাদের ওপর হওয়া যৌন হয়রানির অভিযোগকেই হাতিয়ার করে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আসরে নেমেছে বিরোধীরা। তার প্রথম সারিতে রয়েছে বিজেপি। বিজেপির একাধিক নেতা সন্দেশখালি গেছেন। দিল্লি থেকে এসেছে জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রধান রেখা শর্মা ও তার প্রতিনিধি দল। এসসি এসটি কমিশনের প্রতিনিধি দলও সন্দেশখালি সফর করেছে। প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এই রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবিও উঠেছে।
সূত্রের খবর সন্দেশখালির পরিস্থিতিতে ভোটের রাজনীতিতে কাজে লাগিয়ে আসন সংখ্যা বাড়াতে মরিয়া চেষ্টা করছে বিজেপি। ভোট রণকৌশলের প্রথমেই রয়েছে সন্দেশখালি ইস্যু। সূত্রের খবর এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই রাজ্য সফর করুন এমনই চাইছে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। পাশাপাশি সন্দেশখালির নির্যাতিতা মহিলাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী যাতে কথা বলেন তারও দাবি উঠেছে দলের অন্দরে। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকেই রাজ্যে আসার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের।