সংক্ষিপ্ত

তৃণমূল সদস্য ও দলীয় কর্মীরা পঞ্চায়েত অফিসে জড়ো হয়। তারপরই দুই পক্ষ ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে। পঞ্চায়েতের ভিতরেই জয় বাংলা শ্লোগান ওঠে। প্রধান পঞ্চায়েত থেকে বেরিয়ে চলে যান।

 

পোলবার রাজহাট পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল আবারও প্রকাশ্যে এল। অভিযোগ পঞ্চায়েতের ২১ জন মেম্বার রয়েছে।অথচ প্রধান প্রিয়াঙ্কা শূর তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন ছাড়া আর কোনও মেম্বারের কাজ করেন না। ফিফটিন ফাইন্যান্সের টাকায় কাজ শুরু হয়েছে কিন্তু দলেরই মেম্বারদের এলাকা বঞ্চিত হচ্ছে , এলাকার উন্নয়ন থমকে আছে। তারা অভিযোগ করেন প্রধান অন্যের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছেন দলের লোকের কথা শুনছেন না।

আজ এবিষয়ে আলোচনার জন্য তৃণমূল সদস্য ও দলীয় কর্মীরা পঞ্চায়েত অফিসে জড়ো হয়। তারপরই দুই পক্ষ ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে। পঞ্চায়েতের ভিতরেই জয় বাংলা শ্লোগান ওঠে। প্রধান পঞ্চায়েত থেকে বেরিয়ে চলে যান।

তৃণমূল রাজহাট অঞ্চল সভাপতি রূপকুমারের অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধান নিজের মর্জি মত চলছে। আমাদের কথা শোনেননা। প্রধান কারও সঙ্গে কোন আলোচনা করে না নিজে যা মনে হয় তাই করে। তৃণমূল কর্মি সন্দীপ মালাকার একটি ছবি দেখিয়ে অভিযোগ করেন,স্বামীর সঙ্গে বাড়িতে রাগ অভিমান হলে সেটা পঞ্চায়েত এসে মেটায়। পঞ্চায়েতটা কাজের জায়গায়, সেটাকে রোমান্সের জায়গা বানিয়ে ফেলেছে। আগে আমরা অনেক প্রধান দেখেছি কিন্তু এরকম দেখিনি। আমাদের দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কোন রকম আলোচনা করেনা।এতে দলের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। ওনার বুথে এবারে লোকসভা ভোটে আমরা হেরেছি। উনি বিজেপি হয়ে কাজ করছেন ।আমরা চাই প্রধান পদত্যাগ করুক।

অন্যদিকে রাজহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রিয়াঙ্কা শূর বলেন,কোনও সমস্যা তৈরি হলে আমি সমাধান করার চেষ্টা করি না , এটা যদি বলে থাকে তাহলে মিথ্যা বলছে। পঞ্চায়েতের সদস্যরা পঞ্চায়েতেই আসেন না। পঞ্চায়েতের কাজ এই সবে শুরু হয়েছে। ধাপে ধাপে বিভিন্ন এলাকায় কাজ হবে। আমার পঞ্চায়েত লোকসভা ভোটে লিভ দিয়েছে ।ওরা চাইছে আমাকে কি করে সরানো যায় ।আমাকে কেন সরাতে চাইছে সেটা বুঝতে পারছি না।

বিধায়কের সঙ্গে সেরকম আদান-প্রদান আমার নেই। যেহেতু উনি আমাকে প্রধান করেননি, অন্য কাউকে সিলেক্ট করেছিলেন।

আর কথা রইল রোমান্স করার ,আমরা স্বামী-স্ত্রী আমাদের মধ্যে যদি এটা হয়, তাহলে ওদের কি অসুবিধা, তাহলে বুঝুন ওদের মনোভাবটা কতোটা নিচু।