সংক্ষিপ্ত

সোমবার সন্দেশখালি সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে কোনও বাধা নেই।

সন্দেশখালির ফেরার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতেই পারে রাজ্যের পুলিশ। তাঁকে গ্রেফতারির ওপর কোনও স্থগিতাদেশ নেই। সোমবার স্পষ্ট করে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এদিন আদালত বলেছে, 'আমরা স্পষ্ট করছি যে কোনও কার্যক্রমে গ্রেফতারের ওপর কোনও স্থগিতাদেশ নেই। শুধুমাত্রা একটি প্রথম তথ্য প্রতিবেদন রয়েছে। আসামি হিসেবে শাহজাহানের নাম উঠে এসেছে। তাই তাকে গ্রেফতার করা প্রয়োজন।'

তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার রাতে একটি দাবি করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, বাংলার সরকার শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে অক্ষম। কারণ আদালত পুলিশের হাতপা বেঁধে রেখেছে। অভিষেকের এই দাবিকে কেন্দ্র করেই প্রতিবাদে সরব হয় বিজেপি। তারা আদালত অবমাননার অভিযোগও তোলে।

যাইহোক সোমবার সন্দেশখালি সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে কোনও বাধা নেই। পুলিশও এই বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। তিনি আরও বলেছেন, পুলিশকে বলা হয়নি যে ওই নেতাকে গ্রেফতার করা যাবে না। পাশাপাশি এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ৬ মার্চ।

এদিন আদালতে বিচারপতি বলেন, 'শুনলান শাহজাহান শেখের আগাম জামিন মামলা পিছিয়ে গেছে। উনিতো পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কী করে ওকে গ্রেফতার করা হবে?' তখনই পাল্টা বলা হবে এক সাংসদ বলেছেন আদালতের নির্দেশের কারণেই শাহজাহানকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না। আদালত এফআইআরে স্থগিতাদেশ দিয়েছে। এই মন্তব্য শুনে বিচারপতির প্রশ্ন ছিল- কোন নির্দেশে স্থগিতাদেশ। পাল্টা রাজ্যের আইনজীবী বলেন, 'ইডি-র ওপর আক্রমণের ঘটনায় রাজ্য পুলিশ তিনটি এফআইআর করেছিল। তাতে আদালত স্থগিতাদেশ দিয়েছে।' তারপরই বিচারপতি মন্তব্য করেন, 'স্পষ্ট করে বলছি পুলিশকে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। ইডির মামলায় সিট গঠনের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পুলিশকে বলিনি, শাহজাহানকে গ্রেফতার করা যাবে না।'

ইডির ওপর আক্রমণের পাশাপাশি সন্দেশখালির স্থানীয় মহিলাদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে। জোর করে জমি দখলের পাশাপাশি একাধিক বেআইনি কাজের অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। পাশাপাশি রেশন দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছিল তাঁর নাম। তদন্তকারীদের একাংশের মতে শাহজাহান ছিল রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ডান হাত। এই সহ কারণে সন্দেশখালি-সহ রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায় শাহজাহানের গ্রেফতারের দাবি উঠেছে। কিন্তু রাজ্য পুলিশ এখনও গ্রেফতার করতে পারেনি শাহজাহানকে। ৫০ দিনেরও বেশি সময় ধরে ফেরার তিনি। তবে আইনজীবীর মাধ্যমে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে আগাম জামিনেরও আর্জি জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান।