সংক্ষিপ্ত

৪টে নাগাদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখার করার কথা ছিল শুভেন্দু অধিকারীদের। আগে থেকে দেখা করার জন্য সময় চেয়ে নিয়ে রেখেছিলেন বিজেপি নেতা।

 

বৃহস্পতিবার ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে আক্রান্তদের নিয়ে রাজভবনে ঢুকতেই পারলেন না বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। আজ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে রাজ্যের ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে আক্রান্তদের নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শুভেন্দুর অভিযোগ রাজ্য পুলিশ তাঁদের রাজভবনের ভিতরে ঢুকতেই দেয়নি। রাজ্য পুলিশ তাদের বাধা দিয়েছে। তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ সময়ই তাঁরা ঢোকার অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু রাজ্য পুলিশের তাদের অনুমতি না দেওয়ায় পাশাপাশি হেনস্থা করেছে বলেও অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী। অন্যদিকে রাজ্যপাল স্বরাষ্ট্র সচিবের থেকে ভোট পরবর্তী হিংসা সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করেছে।

বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টে নাগাদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখার করার কথা ছিল শুভেন্দু অধিকারীদের। আগে থেকে দেখা করার জন্য সময় চেয়ে নিয়ে রেখেছিলেন বিজেপি নেতা। নির্ধিরিত সময়ই এদিন রাজভবনে যান শুভেন্দু অধিকারীরা। তাঁর সঙ্গে ছিল ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসে আক্রান্তরা। বিজেপি সূত্রের খবর ক্যানিং, যাদবপুর, ভাঙড়, উলুবেড়িয়া, কুলতলি থেকে আক্রান্তদের নিয়ে আসা হয়েছিল। শুভেন্দু অধিকারীর দাবি রাজভবেনর বাইরেই তাদের আটকে দেওয়া হয়। কেন আটকানা হয়েছে তা রাজ্য পুলিশ কিছুতেই জানায়নি। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'জরুরি অবস্থার সময়ও দেশে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যাযের ফ্যাসিবাদী রূপ প্রকাশ্যে এসেছে।' তিনি আরও বলেন, শুক্রবার এই বিষয় নিয়ে তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবেন।

রাজ্যে লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপিও বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিল। বিজেপি জানিয়েছে, সন্ত্রাসের কারণে বিজেপির অনেক নেতা কর্মী ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। বিজেপি কলকাতায় একটি শিবির করে আক্রান্তদের নিয়ে এসে রেখেছে। বিজেপির দাবি তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাদের ওপর চড়াও হচ্ছে। মারধর করছে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।