সংক্ষিপ্ত
পুলিশ কেন নিস্ত্রিয়? তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিমা মণ্ডলকে দেখে এই প্রশ্নই ছুঁড়ে দেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। আঙুল উঁচিয়ে তিনি শাসক দলের নেত্রীর কাছে প্রশ্ন করেন।
আরজি কর কাণ্ডের রেশ এখনও জারি রয়েছে রাজ্য। কিন্তু তারই মধ্যে রাজ্য উত্তপ্ত জয়নগরের নাবালিকা ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাকে কেন্দ্রকে। তারই মধ্যে জয়নগরে গিয়ে বচসায় জড়ালেন রাজ্যের শাসক ও বিরোধী দলের দুই নেত্রী। একদিকে অগ্নিমিত্রা পল ও অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিমা মণ্ডল।
পুলিশ কেন নিস্ত্রিয়? তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিমা মণ্ডলকে দেখে এই প্রশ্নই ছুঁড়ে দেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল। আঙুল উঁচিয়ে তিনি শাসক দলের নেত্রীর কাছে প্রশ্ন করেন। অগ্নিমিত্রা বলেন, 'আপনি এখানকার সাংসদ। আপনি অভিভাবক। আপনাকে জবাব দিতেই হবে।' সংসদকে ঘিরে গো-ব্যাক স্লোগানও উঠতে থাকে ভিড়ের মধ্যে থেকে। পাল্লা সাংসদ প্রতিমা মণ্ডল বলেন, 'এটাই ওদের শিক্ষা। আমি কাউকে কিছু বলিনি। কিন্তু ওঁরা শেখাচ্ছে আমার শাড়ি খুলে নেওয়া হোক। আমি ভয় পাই না'। রীতিমত গলা চড়িয়ে জবাব দেন প্রতিমা মণ্ডল।
শুক্রবার রাতে নাবালিকার দেহ উদ্ধার হয় জয়নগর থেকে। শনিবার থেকে তাই নিয়ে উত্তেজনার পারদ চড়তে থাকে। নাবালিকার দেহের ময়নাতদন্তেরও দাবি জানান হয় বিজেপির পক্ষ থেকে। তারপরই জয়নগর হাসপাতালে বচসায় জড়িয়ে পড়ে শাসক ও বিরোধী দলের দুই নেত্রী।
ঘটনর সূত্রপাত এক ছাত্রীর নিখোঁজ হয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে। চতুর্থ শ্রেণীর ওই পড়ুয়া শুক্রবার দুপুরে গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে গিয়েছিল। তার পর থেকেই আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না নাবালিকার।পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ জানাতে গেলে সেখানে পরিবারের সদস্যরা কোনও গুরুত্ব পায়নি বলে অভিযোগ। পরে রাতের দিকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের দাবি পুলিশ প্রথম থেকে যদি বিষয়টিতে গুরুত্ব দিত তাহলে এমনটা হত না। পুলিশের নিস্ক্রিয়তাকে কেন্দ্র করেই শনিবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয় গোটা এলাকা। সকাল থেকেই দফায় দফায় পুলিশ জনতা সংঘর্ষ বাধে। পুলিশ ফাঁড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। ছোঁড়া হয় কাঁদানে গ্যাস। লাঠি চার্জও করা হয়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।