সংক্ষিপ্ত
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সারা রাজ্য উত্তাল। এরই মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে একের পর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আসছে।
কোচিং সেন্টারে প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়তে গিয়ে যৌন নির্যাতনের শিকার হলেন এক উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। ক্লাস শেষ হওয়ার পর তাঁকে বসিয়ে রেখে ফাঁকা ঘরে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরে। ধৃত প্রাইভেট টিউটরের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক ছাত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণ, শ্লীলতাহানি, যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। ফের এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন তিনি। যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনা ছাত্রীর পরিবারের পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারাও ধৃত শিক্ষকের কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছেন।
শিক্ষকের লালসার শিকার ছাত্রী
বারুইপুরের এই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর অভিযোগ, শনিবার রাতে তিনি পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য প্রাইভেট টিউটরের কাছে পড়তে গিয়েছিলেন। পড়া শেষ হওয়ার পর তাঁকে অপেক্ষা করতে বলেন শিক্ষক। সবাই চলে যাওয়ার পর তাঁর সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন শিক্ষক। বাড়ি ফিরে বাবা-মাকে পুরো ঘটনা জানান এই পড়ুয়া। এরপর তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে রবিবার বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
একাধিক ছাত্রীকে হেনস্থার অভিযোগ
বেশ কয়েকজন ছাত্রী অভিযোগ করছেন, তাঁদেরও যৌন হেনস্থা করেছেন এই শিক্ষক। ছাত্রীদের পরিবারের সদস্যরাও একই অভিযোগ করছেন। বারুইপুর থানা এই অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের পরিবার রয়েছে। তাঁর যথেষ্ট বয়স হয়েছে। কিন্তু তারপরেও তিনি দুষ্কর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ। পকসো আইনে মামলা দায়ের হওয়ার পর আদালতে দোষী প্রমাণিত হলে কঠোর সাজা পেতে পারেন এই শিক্ষক। নির্যাতিতা পড়ুয়া সেই দাবিই জানাচ্ছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
হাসপাতাল না নেশার ঠেক! রীতিমতো ভয় ধরাচ্ছে আর জি কর হাসপাতালের রাতের দৃশ্য
'আমরা সন্দেহ করছি এটা ইন্টার্নের কাজ,' আর জি করের ঘটনায় ভাইরাল ডাক্তারি পড়ুয়াদের কথোপকথন