সংক্ষিপ্ত
ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের মতো পশ্চিমবঙ্গেও প্রতারণার অন্যতম হাতিয়ার মানুষের ঈশ্বরভক্তি। পূর্ব বর্ধমানেও এই ঘটনাই দেখা গিয়েছে।
একটি চিটফান্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সেই সংস্থার চাকরি খোয়ানোর পর প্রতারণার অন্য উপায় অবলম্বন করেন। এবার ঈশ্বরকে অবলম্বন করে প্রতারণা শুরু করেন। তাঁর উপর কৃষ্ণকালীর ভর হয়েছে বলে দাবি করেন। গ্রামের অনেকে সে কথা বিশ্বাসও করেন। পুজোর নামে অনেকের কাছ থেকে টাকা আদায় করেন এই প্রতারক। তবে শেষরক্ষা হল না। ধরা পড়ে গেল প্রতারণা। গ্রামবাসীরা মিলে প্রতারককে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। এই ঘটনা ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জেলা সদর বর্ধমান শহরের ইচলাবাদ অঞ্চলে। ধৃত মহিলার নাম মঙ্গলা কোরা। তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
সাধনার নামে প্রতারণা
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলা নামে এই মহিলা দাবি করতেন, তিনি কৃষ্ণকালীর সাধক। পূজার্চনার মাধ্যমে তিনি অনেক মানুষের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি অনেক দূর থেকেও লোকজন এই প্রতারকের কাছে আসতেন। তাঁরা মঙ্গলাকে অনেক টাকাও দিতেন। মঙ্গলার ইউটিউব চ্যানেল আছে। তাঁর প্রতারণা ফাঁস হয়ে যাওয়ার পরেই খেপে ওঠেন স্থানীয়রা। তাঁরা মঙ্গলার তথাকথিত সাধনার জায়গা তছনচ করেন। সব জিনিসপত্র ছুড়ে ফেলে দেন স্থানীয়রা। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। প্রতারণায় অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর স্বামী ফুচকা বিক্রি করেন বলে জানা গিয়েছে।
প্রতারণার অভিযোগ অস্বীকার মঙ্গলার
প্রতারণার অভিযোগ অস্বীকার করে মঙ্গলা পাল্টা দাবি করেছেন, 'আমি কোনওদিন বলিনি ঠাকুর পেয়েছি। আমি টাকা-পয়সা নিই না। ভক্তরা নিজেরাই টাকা দেন। যাঁরা ফল পান তাঁরা টাকা দেন। ফল পাওয়ার পর অনেকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত দিয়েছেন। মায়ের উপর যাঁদের বিশ্বাস আছে তাঁরাই টাকা দেন।' তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, প্রতারণা করে অনেকের জমি হাতিয়ে নিয়েছেন মঙ্গলা।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের নামে ঋণ করিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা
চাকরির নামে আদিবাসী তরুণীর সঙ্গে প্রতারণা, অবিলম্বের মন্ত্রী হুমায়ুন কবীরকে সরানোর দাবি