সংক্ষিপ্ত
মাঠে চড়তে থাকা কয়েকটি ছাগলের গায়ে পরানো অবস্থায় দেখা গেছে ছোট ছোট শিশুদের স্কুলের ইউনিফর্ম, এই ঘটনা দেখেই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষুব্ধ গ্রামের বাসিন্দারা।
মাঠে ঘাস খেয়ে বেরাচ্ছে ছাগল, আর প্রত্যেকটি ছাগলের গায়ে রয়েছে স্কুল পড়ুয়াদের পোশাক! এই কাণ্ড নিয়ে রীতিমতো সরগরম হয়ে উঠেছে পুরুলিয়ার বাঘমুণ্ডি ১ নম্বর সার্কেল এর বাঘমুণ্ডি নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়।
জানা গিয়েছে, গত ২৩ শে জানুয়ারি বাঘমুণ্ডি থানার চানো গ্রামের একটি মাঠে চড়তে থাকা কয়েকটি ছাগলের গায়ে পরানো অবস্থায় দেখা গেছে ছোট ছোট শিশুদের স্কুলের ইউনিফর্ম । সেই ছবি ভাইরাল হয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় । ফলে, সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি নজর কেড়ে নেয় নেটিজেনদের। চারিদিকে শুরু হয়ে যায় তীব্র সমালোচনা ।
এরপরেই এই কাণ্ডের জন্য দোষারোপের আঙুল ওঠে বাঘমুণ্ডি নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। শিক্ষকদের উদাসীনতার অভিযোগ তোলেন চানো গ্রামের বাসিন্দা দিলীপ পরামানিক। যদিও তাঁর সেই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মলয় রঞ্জন মাঝি।
বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটার পরিপরেক্ষিতে অভিভাবকদের নিয়ে একটি সভা করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক । শিক্ষক বা এই স্কুলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, সেই অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা এবং কোনও অজানা ব্যক্তি স্কুলের পোশাক পরা ছাগলদের ছবি তুলে এই স্কুল এবং শিক্ষকদের বদনাম করার চক্রান্ত করছেন বলেই মনে করছেন অভিভাবকরা।
এদিনের অভিভাবক সভাতে উপস্থিত ছিলেন বাঘমুণ্ডি ১ নং চক্র শিক্ষাবন্ধু স্বর্ণালী চট্টোপাধ্যায়, প্রধান শিক্ষক মলয় রঞ্জন মাঝি সহ স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকগণ। কীভাবে এমন ধরনের ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখার চেষ্টা চলছে বলে জানা গিয়েছে।